পরেশপন্থী আলফা-সহ উত্তর-পূর্বের ১৩টি জঙ্গি সংগঠন যৌথ ভাবে আসন্ন স্বাধীনতা দিবসে যাবতীয় অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিল। যৌথ ই-মেল বিবৃতিটি পাঠানো হয়েছে আলফার প্রচার সচিব পরেশ অনুগামী অরুণোদয় অসমের নামে। কাল রাতেই তিনসুকিয়ায় বিস্ফোরক রাখতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে পাঁচ আলফা জঙ্গি। এই সঙ্গেই আজ কেপিএলটি-সহ বিভিন্ন সংগঠনের ৩৫ জন জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে বলে সেনা সূত্রের দাবি।
এই প্রথম, কার্বি আংলং-এর কট্টর জঙ্গি সংগঠন কেপিএলটির শীর্ষ নেতা ও সদস্যরা আত্মসমর্পণের পথে হাঁটলেন। আজ তেজপুরে সেনাবাহিনীর ঘাঁটিতেমুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও গজরাজ কোরের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল শক্তি গুরুং-এর কাছে অস্ত্র জমা দেয় জঙ্গিরা। কেপিএলটি ছাড়াও সংগ্রামপন্থী এনডিএফবির ৬ জন ও পরেশপন্থী আলফার ২ জন জঙ্গিও এ দিন আত্মসমর্পণ করেছে।
সেনা সূত্রে খবর, এ দিন মোট ২৭ জন কেপিএলটি জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে। এদের মধ্যে রয়েছেন,সংগঠনের বর্তমান উপ সেনাধ্যক্ষ ডেভিনসন রংপি, প্রাক্তন উপ সেনাধ্যক্ষ জিতেন বে, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রংফার, বিদেশ সচিব মণিরাম রংপি ও যুগ্ম প্রচার সচিব ফ্রান্সিস মিরিক। জমা দেওয়া
অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৫টি রাইফেল, ১৯টি পিস্তল ও আরও প্রচুর অস্ত্র, কার্তুজ, সামরিক সরঞ্জাম।
গগৈ জঙ্গিদের মূলস্রোতে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “অসমে নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে। সমস্যা বাড়ছে, কারণ, সমাধানের ভুল রাস্তা বেছে নিচ্ছে যুবসমাজ। আজ যাঁরা অস্ত্র জমা দিয়ে আমাদের কাছে ফিরে এল, সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব তাদেরই নিতে হবে।” সেনাবাহিনীর তরফে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়, জঙ্গিদের পুনর্বাসনের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হোক। পুলিশের মতে, কেপিএলটির হাতে মেরেকেটে ৪০টি অস্ত্র ছিল। আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিরা এর অর্ধেক নিয়ে বেরিয়ে আসায় সংগঠনে জোর অনেকটাই কমে গিয়েছে। অবশ্য, কেপিএলটির তরফে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, আত্মসমর্পণকারী জঙ্গিরা মোটেই কেপিএলটির সদস্য ছিল না। তারা ইউপিডিএস-এর সদস্য। |