আকাশপথে ভারতের বিভিন্ন শহরে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে লস্কর-ই-তইবা। এই কাজের জন্য ১৫০ জন জঙ্গিকে প্যারাগ্লাইডারে চড়ার প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। মুম্বই পুলিশের দাবি, আকাশপথে হামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ২৬/১১ কাণ্ডের অন্যতম চক্রী আবু জিন্দল। দিল্লি পুলিশের জেরাতেও এ কথা জানিয়েছিল সে।
সৌদি আরব থেকে ভারতে নিয়ে আসার পরে লস্কর, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ও তাদের ভারত-বিরোধী চক্রান্ত নিয়ে অনেক তথ্য জানিয়েছে
আবু জিন্দল।
সম্প্রতি তাকে ২৬/১১ কাণ্ডে একমাত্র ধৃত জঙ্গি আজমল আমির কাসভের মুখোমুখি বসিয়েও জেরা করে মুম্বই পুুলিশ। পুলিশের দাবি, কাসভ জিন্দলকে শনাক্ত করেছে।
জিন্দল পুলিশকে জানিয়েছে, ‘জাম্বো জেট রুম’ নামে লস্করের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। প্রথমে ওই কেন্দ্রটি পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফ্ফরাবাদের কাছে ছিল। মুম্বই হামলার পরে সেটিকে করাচিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই কেন্দ্রে ১৫০টি বাক্সবন্দি প্যারাসুট দেখতে পায় জিন্দল। লস্কর নেতা ইয়াকুব তাকে জানায়, ভারতে হামলা চালানোর জন্য ওই প্যারাসুটগুলি ব্যবহার করা হবে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ইয়াকুব মুম্বই হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড কোলম্যান হেডলির প্রশিক্ষক। ‘জাম্বো জেট রুমেই’ হেডলির সঙ্গে তার দেখা
হয়েছিল বলে জানিয়েছে জিন্দল। ইয়াকুব হেডলির পরিচয় দেয় ‘এক জন বিদেশি বন্ধু’ হিসেবে।
লস্করের কাশ্মীর হাউস ও করাচি হাউস বলে আরও দু’টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কথা মুম্বই পুলিশকে জানিয়েছে জিন্দল। তার বক্তব্য, করাচি হাউস থেকে সারা ভারতে জঙ্গি হানার পরিকল্পনা করা হয়। কাশ্মীর হাউস ব্যবহার করা হয় কেবল জম্মু-কাশ্মীরে হামলার ছক কষতে।
আদতে মহারাষ্ট্রের বিড় এলাকার বাসিন্দা জিন্দল ওরফে সৈয়দ জাবিউদ্দিন আনসারি। তার দাবি, ২৬/১১ কাণ্ডের ষড়যন্ত্রে আরও তিন জন ভারতীয় যুক্ত ছিল। তাদের নাম, মাসুদ শেখ, ফৈয়জ কাগজি ও রাহিল শেখ। এই তিন জনের মধ্যে মাসুদ ও ফৈয়জও বিড়ের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে জিন্দল। রাহিল শেখের বাড়ি মুম্বইয়ে। জিন্দলের দাবি, মাসুদেরও কাসভদের সঙ্গে মুম্বই হামলায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু, পরে সেই পরিকল্পনা বাতিল করা হয়। |