ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ থেকে চার বছর পরে মুক্তি পেলেন অসমের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী রিপুন বরা। দিল্লিতে ২০০৮ সালের জুন মাসে রিপুনবাবুকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। গ্রেফতার হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ রিপুনবাবুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন।
এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে রিপুনবাবুর গোহপুর কেন্দ্র থেকে লড়ে জয়ী হন তাঁর স্ত্রী মণিকা বরা। গত বছর, দিল্লি হাইকোর্ট রিপুনকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছিল।
|
রিপুন বরা |
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। কিন্তু দু’দিন আগে সুপ্রিম কোর্টও সিবিআইয়ের দাবি নাকচ করে বরাকে নির্দোষ বলে ঘোষণা করে। আজ মামলার রায় হাতে নিয়ে রিপুন অভিযোগ করেন, দুই সতীর্থ মন্ত্রীর ষড়যন্ত্রেই ফেঁসে গিয়েছিলেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০০ সালে। ২৭ সেপ্টেম্বর অসম চা উপজাতি ছাত্র সংগঠনের নেতা তথা স্কুল শিক্ষক ড্যানিয়েল টপ্পোকে চাতরাং এলাকায় হত্যা করা হয়। তদানীন্তন গোহপুরের বিধায়ক, গণেশ কুটুম অভিযোগ তোলেন, টপ্পো হত্যায় রিপুন বরার হাত রয়েছে। পুলিশের তদন্তেও রিপুনের নাম উঠে আসে। আগাম জামিন নেন তিনি।
কিন্তু এক বছরে মামলা না এগোনোয় টপ্পোর ভাই গুয়াহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। চার বছর সরকার বনাম টপ্পো পরিবারের টানাপোড়েনের পরে, হাইকোর্ট ২০০৫ সালে সিবিআইয়ের হাতে তদন্ত ভার তুলে দেয়।
২০০৮ সালে, সিবিআই রিপুনকে ধরতে ফাঁদ পাতে। সিবিআইয়ের দাবি, তদন্তকারী সিবিআই ডিএসপি এ ডি গুপ্তকে সতেরো লক্ষ টাকা ঘুষ দেবেন বলেছিলেন রিপুন। দিল্লির এক হোটেলে রিপুন ও তাঁর ব্যবসায়ী বন্ধু ও মাহেশ্বরীকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
সিবিআই হেফাজত থেকে বেরিয়ে, দুই মাস বরা ও মাহেশ্বরী তিহার জেলে কাটান। এর পর জামিন পান তাঁরা। ২০১০-সালের নভেম্বর মাস থেকে, দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপর্ব শুরু হয়।
তবে এক দিকে যেমন রিপুনবাবুর বিরুদ্ধে হাতেনাতে ঘুষ দেওয়ার ঘটনাটি প্রমাণ করতে পারেনি সিবিআই, তেমনই তাদের চার্জশিটে তারিখ ও ঘটনার গোলমাল ছিল। দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হারার পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। সেখানেও সিবিআই বরার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। |