ছাত্রীকে প্রহারের ঘটনার তদন্তের দাবিতে কোচবিহারের রাজারহাটে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র পরিষদ। সংগঠনের সমর্থকদের পাশাপাশি স্কুলের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও অনেকে ওই অবরোধে সামিল হন। বুধবার দুপুর ১ টা থেকে প্রায় এক ঘন্টা রাজারহাট চৌপথিতে ওই অবরোধ চলে। ফলে ব্যাপক যানজটে নাকাল হন কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি রুটের নিত্যযাত্রীরা। সোমবার টিফিনের সময় রাজারহাট হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীকে তারই এক সহপাঠীর সঙ্গে একটি ফাঁকা ক্লাসঘরের সামনে মোবাইল ঘাটাঘাটিঁ করতে দেখেন এক শিক্ষক। ঘটনার জেরে শাসন করার জন্য ডেকে শিক্ষক পরেশ রায় মারধর করেন বলে মঙ্গলবার কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা তপন রায়। তাঁর অভিযোগ, স্রেফ মোবাইল দেখার অপরাধে যেভাবে মেয়েকে মারধর করা হয়েছে তাতে অসহ্য ব্যাথায় মেয়ে কাতরাচ্ছে। আজও জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে ওকে দেখাতে হয়েছে। এদিন ঘটনার যথাযথ তদন্তের দাবিতে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র পরিষদ সমর্থকরা। আন্দোলনকারীদের তরফে ছাত্র পরিষদের মধুপুর অঞ্চল সভাপতি বুবাই দাম বলেন, “শাসনের নামে ওই ছাত্রীকে মারধরের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সেজন্যই ঘটনার তদন্তের দাবিতে অবরোধে সামিল হই। পরে পুলিশ ঘটনার তদন্তে স্কুলে ও ছাত্রীর বাড়িতে গেলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।” অভিযুক্ত শিক্ষক পরেশ রায় অবশ্য বলেছেন, “আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। ফাঁকা ক্লাসঘরে সহপাঠীর মোবাইল নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করায় ওকে বকলেও মারধর করিনি। সেটা ছাত্রীর বাবাকে জানিয়েছিলাম। আজ শুনি পুলিশে অভিযোগ হয়েছে।” ডিআই মহাদেব শৈব্য বলেন, “বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।” পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |