বাস ধর্মঘটের জেরে জলপাইগুড়ি-হলদিবাড়ি রুটে নিত্যযাত্রীদের ভোগান্তি এক সপ্তাহে পড়ল। সমস্যা সমাধানে বুধবারেও পুরসভা ও প্রশাসনের কর্তাদের উদ্যোগী হতে না দেখে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পুরসভার তরফে সভা করার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা কবে হবে এ দিনও স্পষ্ট করা হয়নি। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “সমস্যার সমাধানের জন্য জলপাইগুড়ির পুরসভাকে সভা ডাকতে বলা হয়েছে। ওই সভায় প্রশাসনের প্রতিনিধিও থাকবেন। কিন্তু কবে ওই সভা হবে সেই বিষয়ে পুরসভা এখনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।” পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “সভা হবে। তবে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি।” |
ছবি: রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়। |
জলপাইগুড়ি শহরের ৩ নম্বর গুমটি পর্যন্ত বাস চলাচলের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার হলদিবাড়ি-জলপাইগুড়ি রুটে বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় বাস শ্রমিক সংগ্রাম কমিটি। মঙ্গলবার থেকে ওই সংগঠনের সমর্থকরা হলদিবাড়িতে রিলে অনশন করছেন। যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌছলেও সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী না হয়ে আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। শ্রমিক সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক ইব্রাহিম মহম্মদ বলেন, “জলপাইগুড়ি পুরসভা শহরের ৩ নম্বর গুমটি পর্যন্ত বাস চালাতে না দেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।” বাস কর্মীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে হলদিবাড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি গোপাল রায় বলেন, “জলপাইগুড়ি পুরসভা মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা না ভেবে বউ বাজারে বাস্ট্যান্ড তৈরি করেছে। ৩ নম্বর গুমটি পর্যন্ত বাস না চালাতে দেওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। পুরসভার উচিত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা।” একই বক্তব্য হলদিবাড়ি ব্লক কংগ্রেস নেতৃত্বের। তবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব যাই বলুন না কেন ছয় দিন পরেও বাস পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় নিত্যযাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা চিন্তা করে পুরসভা ও প্রশাসনের কর্তাদের উচিত বাস কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করা। সেটা না করে প্রত্যেকে শুধুমাত্র বিবৃতি দিয়ে দায় সারছেন। জটিলতা বাড়ছে। |