| সামান্য হাত কেটে গেলেও ‘রেফার’ |
| নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলডাঙা |
সব আছে, নেই শুধু চিকিৎসা।
বেলডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল ঘিরে এমনই অজস্র ভ্রূকুঞ্চন। ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চিকিৎসকদের আঁতাত, সামান্য হাত কাটলেও বহরমপুরে রেফার করে দেওয়ার প্রবণতা, পরিকাঠামো থাকলেও অস্ত্রোপচারে ‘অনীহা’হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের নিয়ে স্খানীয় বাসিন্দাদের মেনই অভিযোগের পাশাপাশি সন্ধে হলেই বদলে যাওয়া হাসপাতালের চেহারা, জুয়ার আসর, গাড়ির অবাধ পার্কিং। এক কথায় এই হল বেলডাঙাপ হাসপাতাল।
অথচ এই হাসপাতালের উপরেই পুরসভা ছাড়াও অন্তত ১০টি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ, নওদা, রেজিনগরের মানুষ নির্ভরশীল। স্বাস্থ্য দফতরের মতো প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ ওই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। হাসপাতালে ৩০টি বেড বর্তমান, মোট ৫ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ৯ জন, সুইপার ৩ জন ও এক জন ফার্মাসিস্ট।
বেলডাঙা কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক আরাফাত শেখ বলেন, “হাতের আঙুল কাটলেই চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে বহরমপুর পাঠান। এ ছাড়া ওসুধের ব্যবসায়ী ও প্যাথলজির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চিকিৎসকদের গোপন আঁতাতের ফলে মানুষ সঠিক চিকিৎসা পান না। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি স্মারকলিপি দিয়েছি। কোনও ফল পাইনি।” বেলডাঙার দেবকুণ্ডুর বাসিন্দা ফতেমা বিবি বলেন, “আমার ছেলের স্ত্রীকে গর্ভবর্তী অবস্থায় ওই হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। কিছু না করে তাকে বহরমপুর মাতৃসদনে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেপার করা হল। বেলডাঙায় কোনও চিকিৎসাই পাওয়া গেল না।” বেলডাঙা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমর বিশ্বাস বলেন, ‘‘এক শ্রেণির ব্যবসায়ী দালালি করার জন্য ডাক্তারদের সঙ্গে মেলামেশা করে। এবং নির্দিষ্ট ওসুধ লিখতে ডাক্তারদের বাধ্য করে।” বিষয় গুলি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে গ্রামীন হাসপাতালের সুপার দেবদত্ত বড়াল বলেন, “দালাল চক্রের বিষয়ে এলাকার মানুষের অভিযোগ পেয়েছি, সমস্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্ঠা চলছে। তবে আমরা চেষ্টা করি সমস্ত রোগীকে চিকিৎসা করতে। অনেক ক্ষেত্রে বাড়ির লোকের অসহযোগিতা পেয়ে আমার বহরমপুর পাঠাতে বাধ্য হই। আমাদের এখানে নিয়মিত আউটডোর চলে এক্সরে হয়, ই সি জি হয়। তবে প্রয়োজনীয় সার্জেন ও অ্যানাস্থেসিস্ট-এর অভাবে পরিকাঠামো থাকলেও অপারেশন করা যায় না।” স্থানীয় বিধায়ক কংগ্রেসের সফিউজ্জামান বলেন, “স্টেট জেনারেলে উন্নীত করার জন্য সব ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।” কিন্তু কবে তা হবে? কেউ জানে না। |
