চিকিৎসার নামে বুজরুকি, গ্রেফতার তিন |
কানে ফুঁ দিয়ে, মাথায় হাত বুলিয়ে নানা রোগ সারানোর কারবার ফেঁদেছিল তিন প্রতারক। কয়েকমাস ধরে দাসপুরের গোপালপুর গ্রামের জানা পাড়ায় রীতিমতো স্বাস্থ্য শিবির করে এই বুজরুকি চলছিল। ভিড়ও হত। কেউ বিশ্বাসে আসতেন, কেউ আসতেন দারিদ্রের অসহায়তা থেকে। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির ঘাটাল শাখা বিষয়টি জানতে পেরে তৎপর হয়। ঘাটালের মহকুমাশাসক ও দাসপুর থানায় লিখিত ভাবে সব জানায় তারা। মঙ্গলবার বিকালে দাসপুর থানার পুলিশ স্বাস্থ্য শিবিরে হানা দিয়ে ৩ জনকে আটক করে নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর না পাওয়ায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ধৃতদের ঘাটাল আদালতে হাজির করা হয়। ৩ জনই অবশ্য জামিন পেয়ে গিয়েছেন। কয়েকমাস ধরে দাসপুরের গোমকপোতার পঞ্চানন মাইতি, রামদেবপুরের অরুণ গোস্বামী ও রাজনগরের সুকুমার সামন্ত এই বুজরুকি চালাচ্ছিলেন। প্রতি মঙ্গলবার হত স্বাস্থ্য শিবির। রোগী এলেই প্রথমে ১০ টাকায় একটা বই বিক্রি করতেন। পরে একটি বাক্সে রোগীকে ইচ্ছে মতো টাকা দিতে বলতেন। এ ভাবে প্রতি মঙ্গলবার ৮-১০ হাজার টাকা রোজগার হত। জন্মান্ধ, মূক-বধির, শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী, থেকে মাথার যন্ত্রণা, যৌনরোগ, বাত, আলসার-সহ যে কোনও অসুখ সারিয়ে দেওয়ার দাবি করতেন ওঁরা। চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল কানে ফুঁ দেওয়া এবং মাথায় হাত বোলানো। বিড়বিড় করে মন্ত্রও পড়তেন। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির ঘাটাল শাখার সম্পাদক দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা ওই গ্রামে গিয়ে গোটা ঘটনা গোপনে ভিডিও ক্যামেরাবন্দি করি। পরে প্রতারকদের এ সব বন্ধ করতে অনুরোধও করি। কিন্তু ওঁরা শোনেননি। এরপরই বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হয়।”
|
চিকিৎসক চেয়ে স্মারকলিপি হাসপাতালে |
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে হৃদরোগ, নিউরোলজি, নেফ্রলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাখার দাবি জানাল শিলিগুড়ি টাউন কংগ্রেস কমিটি-২। বুধবার ওই দাবিতে তারা হাসপাতালের সুপারকে স্মারকলিপি দেন। টাউন কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নেই। তা ছাড়া নিউরোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা ওই বিভাগের কোনও শল্য চিকিৎসক নেই। নেফ্রলজির চিকিৎসক নেই। রাতে হাসপাতালে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকেন না। অন্তত ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকার দাবি জানানো হয়েছে। মেডিসিন, শল্য বিভাগে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকার জন্য রোগী এবং তাদের লোকদের হেনস্থা হতে হয়। হাসপাতাল সুপার প্রদীপ সরকার বলেন, “দাবির বিষয়গুলির অধিকাংশ আমাদের নজরে রয়েছে। আমরা চেষ্টাও করছি। রোগীর চাপ অনুসারে মেডিসিন, শল্য, অর্থোপেডিক বিভাগে যে চিকিৎসক রয়েছে তাতো সমস্যা হয়। সে জন্য আরও চিকিৎসক পেলে ভাল হয়। তবে ১২ কিলোমিটারের মধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। সেখানে নিউরোলজি, নেফ্রলজি, হৃদরোগের বিশেষজ্ঞদের কাছে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।” শিলিগুড়ি টাউন কংগ্রেস কমিটি-২-এর সভাপতি বিমলেশ মৌলিকের অভিযোগ, “রাতে হাসপাতাল চত্বরে কিছু মদ্যপ লোকজনও সমস্যা করে। ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।”
|
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে বুধবার মুরারই থানার গোপালপুর গ্রামে একটি স্বাস্থ্য শিবির হয়েছে। |