শিলিগুড়ি কমিশনারেট নিয়ে সন্দিহান রাহুল সিংহ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পুলিশের পরিকাঠামো ও দক্ষতা না-বাড়িয়ে শিলিগুড়িতে ‘কমিশনারেট’ করলে আখেরে কাজের কাজ কতটা হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ। বুধবার শিলিগুড়িতে দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফেরার পথে তিনি বলেন, “পরিকাঠামো, দক্ষতার মান বাড়ানোর দিকে নজর না-দিয়ে কমিশনারেট গড়লে কী হয় তা হাওড়া, ব্যারাকপুর ও বিধাননগরের বাসিন্দারা টের পাচ্ছেন। অনেক
জায়গাতেই অপরাধ আগের চেয়ে বেশি হচ্ছে। শিলিগুড়িতে অপরাধ বাড়ছে বলে সরকারি পরিসংখ্যানই বলছে। আগামী দিনেও এমন চললে আমরা শিলিগুড়িতে কমিশনারেটের পক্ষে নই।”
ঘটনাচক্রে, আগামী কাল, শুক্রবার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট চালু হওয়ার কথা। সরকারি সূত্রের খবর, ভক্তিনগর থানা এলাকাকে নিয়ে ওই কমিশনারেট গড়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি প্রয়োজন। সেই অনুমতি মিললেই সরকারি ভাবে কমিশনারেট গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে। বুধবার পর্যন্ত সেই বিজ্ঞপ্তি জারি না-হলেও কমিশনারেট উদ্বোধন অনুষ্ঠানের জন্য শিলিগুড়ির মাল্লাগুড়িতে বড় মাপের মঞ্চ তৈরি করেছে
পুলিশ-প্রশাসন।
সরকারি তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে দার্জিলিং জেলার বিজেপি নেতৃত্ব রাহুলবাবুকে জানিয়েছেন, গত ৬ দিনে শিলিগুড়ি শহরে দিনেদুপুরে ব্যস্ত রাস্তায় দু’টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময়ের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অফিস, মন্দির, দোকান মিলিয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে ৬টি। রাত বাড়লেই শহরের নানা এলাকায় প্রকাশ্যেই মদের আসর বসছে বলে অভিযোগ।
উপরন্তু, শিলিগুড়ি লাগোয়া মাটিগাড়া এলাকায় এক মাসের মধ্যে একাধিক তরুণী, কিশোরী নিখোঁজ হলেও পুলিশ রহস্যের কিনারা করতে পারেনি বলে অভিযোগ। পুলিশের অবশ্য দাবি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
এই যেখানে অবস্থা, সেখানে পুলিশ কমিশনারেট হলেই পরিস্থিতি রাতারাতি পাল্টে যাবে কি না, সেই প্রশ্নে উদ্বিগ্ন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “যা অবস্থা, তাতে শিলিগুড়ি নিয়ে পুলিশ যে যথেষ্ট চাপে রয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তার উপরে জলপাইগুড়ির ভক্তিনগরকে কমিশনারেটে জুড়লে শিলিগুড়িতে সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
|