ত্রিফলা আলো নিয়ে তদন্তের দাবি বামেদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
শহরে ত্রিফলা আলো লাগানো নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুলে তদন্ত দাবি করল পুরসভার বিরোধী দল বামেরা। বুধবার শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের সঙ্গে দেখা করে তারা ওই দাবি জানান।
অভিযোগ, সম্প্রতি শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে পুর এলাকায় হিলকার্ট রোড, সেবক রোড, বিধান রোড, বর্ধমান রোডের ধারে ওই আলো লাগানো হয়েছে কোনও রকম টেন্ডার প্রক্রিয়া না মেনেই। তা ছাড়া শহরে আলো লাগানো নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষকে কিছু জানানো হয়নি। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ‘শর্ট সার্কিট’ হয়ে বিপদও ঘটছে। অনেক বাতিস্তম্ভেই আলো জ্বলছে না। বাতিস্তম্ভ বসাতে খরচও করা হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত। পুরো বিষয়টি তদন্তের দাবিতে মেয়রের হস্তক্ষেপ চেয়ে এ দিন লিখিত আর্জি জানিয়েছেন বামেরা। আজ, বৃহস্পতিবার এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের কাছেও তারা ওই দাবি জানাবেন। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানিয়েছেন, শহরে ওই আলো লাগানোর ক্ষেত্রে তাঁকে আগাম কিছু জানানো হয়নি এ কথা ঠিক। তবে বাতিস্তম্ভগুলি শর্ট সার্কিট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন।
এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “নিয়ম মেনেই আলোগুলি লাগানো হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে ট্রাকের ধাক্কায় বাতি স্তম্ভগুলির একাংশ বেঁকে গিয়েছে। তবে সেটা শুরুতে বেশি ঘটলেও এখন কমেছে। কোথাও বাতি না জ্বললে তা নিশ্চয়ই দেখা হবে।” বামেরা জানান, মঙ্গলবার রাতে জলপাইমোড় এলাকায় এমনই বাতিস্তম্ভের পাশে মোমোর দোকানে গিয়েছিল এক কিশোর। অসতর্কতার বাতিস্তম্ভে হাত দিতেই তড়িদাহত হন। যদিও বড় ধরনের কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে এর আগে বিধানরোডে লাগানো ওই বাতিস্তম্ভে তড়িদাহত হয়ে একটি গরুর মারা গিয়েছে। যে কোনওসময় বড় ধরনের বিপদের ঝুঁকি রয়েছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, “ওই বাতি স্তম্ভ লাগোনের ক্ষেত্রে কোনও রকম টেন্ডার করা হয়নি। এক একটি বাতিস্তম্ভ পিছু খরচ করা হয়েছে প্রায় ২৮ হাজার টাকা। যা মাত্রাতিরিক্ত। ওই আলো লাগানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে আমাদের আশঙ্কা। তা ছাড়া পুর কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে কী ভাবে শহরের মধ্যে বাতি লাগানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।”
|