|
|
|
|
জমি ফেলে রাখবেন না, চিঠিতে আর্জি পার্থের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
শিল্প না করে কোনও জমি ফেলে রাখা যাবে না বলে ইতিমধ্যেই নীতি গ্রহণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সেই নীতি কার্যকর করতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বণিকসভাগুলির কাছে মৌখিক ভাবে বারবার আর্জিও জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় এ বার তাদের চিঠি দিয়ে ওই একই আর্জি জানালেন শিল্পমন্ত্রী। সরকারি সূত্রের খবর, আগামী কাল, শুক্রবার শিল্প বিষয়ক কোর কমিটির বৈঠকে প্রসঙ্গটি নিয়ে কথা হবে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নতুন সরকার অভিযোগ করে আসছে, রাজ্যে বেশ কিছু বিনিয়োগকারী সংস্থা জমি নিয়ে ফেলে রেখেছে। অনেকে মোট জমির একটি অংশে প্রকল্প করলেও বাকি অংশ ফাঁকা রেখে দিয়েছে। জমি-সঙ্কটে জেরবার সরকার তাই প্রথম থেকেই শিল্প সংস্থার হাতে পড়ে থাকা জমির সদ্ব্যবহার করতে উঠেপড়ে লেগেছে। সরকারের প্রাথমিক হিসেব, এই ধরনের জমির পরিমাণ কয়েক হাজার একরও হতে পারে।
শিল্পমন্ত্রী তাঁর দফতরের তৈরি কোর কমিটির একাধিক বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েই বারবার আলোচনা করেছেন। একটাই আর্জি জানিয়েছেন হয় পড়ে থাকা জমিতে শিল্প গড়ে তুলুন। অথবা তা সরকারের কাছে ফেরত দিন। বলাই বাহুল্য, নতুন সরকারের কার্যকাল প্রায় দেড় বছর হলেও শিল্পমন্ত্রীর আবেদনে এখনও কেউ সাড়া দেননি।
বাধ্য হয়ে এ বার বণিকসভাগুলিকে চিঠি লিখেছেন তিনি। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে ‘রাজ্যে শিল্পায়নের পথে কিছু বাধার কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন সভায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আপনারা। সেই মতো শিল্পের আবেদনপত্র অনুমোদনে ‘এক জানলা’ নীতি কার্যকর করা হয়েছে। ভূমি সংস্কার আইনের ‘১৪ওয়াই’ ধারা সংশোধন করে বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রকে সিলিংয়ের অতিরিক্ত জমি রাখার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।’ গত ১২ জুন কোর কমিটির বৈঠকে সংস্থাগুলির তরফে যে সব প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, সরকারের অফিসারেরা তার উত্তর দিয়েছেন বলেও ওই চিঠিতে দাবি করেছেন পার্থবাবুরা।
এর পরেই শিল্প সংস্থাগুলির হাতে থাকা অতিরিক্ত জমির প্রসঙ্গটি তুলেছেন শিল্পমন্ত্রী। বণিকসভার কর্ণধারদের কাছে তাঁর আবেদন ‘আপনাদের সদস্যদের বলুন, তাঁদের হাতে থাকা জমিতে শিল্প প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরি করে সরকারের কাছে পাঠাতে। সরকার এ ব্যাপারে সাহায্য করবে।
বুধবার এই প্রসঙ্গে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “অনেক দিন ধরেই মৌখিক ভাবে বলছি। এ বার চিঠি দিলাম।” তাঁর কথায়, “শিল্পের জমিতে শিল্পই করতে হবে। তা না করে ফেলে রাখা যাবে না।” লিখিত আবেদনের পরেও যদি সাড়া না মেলে? সরাসরি উত্তর না দিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “কে, কোথায় কতটা জমি ব্যবহার করেছেন, সরকারের কাছে থাকা তালিকা থেকে তা জেনে নেব।” তবে এই নিয়ে কোনও বিরোধের পথে যেতে চান না পার্থবাবু। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান চান তিনি। |
|
|
|
|
|