|
|
|
|
জেলা ভাগ, নথি সংগ্রহের নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে সরকার। প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলাভাগের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়তে বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে রাজ্য সরকার। পশ্চিম মেদিনীপুর ছাড়াও জলপাইগুড়ি ও পুরুলিয়া জেলার কাছেও এই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। যদিও পুরুলিয়া জেলা ভাগ হচ্ছে না। সেখানে দু’টি মহকুমা ভেঙে ৪টি করা হচ্ছে। আগামী ১৭ অগস্টের মধ্যে যাবতীর তথ্য রাজ্য সরকারের কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরকে (পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যামিনিস্ট্রেটিভ রিফর্মস বা পার) জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থেই এই বিভাজন। পশ্চিম মেদিনীপুরে মাওবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই জেলা ভাগের তোড়জোড় শুরু হয়েছিল বাম আমলেই। ঝাড়গ্রামকে পুলিশ জেলা করা হয় তখনই। নতুন সরকার এসে ঝাড়গ্রামকে স্বাস্থ্য জেলা হিসাবে ঘোষণা করে। এ বার দ্রুত গতিতে প্রশাসনিক বিভাজন সারতে চাইছে সরকার। জলপাইগুড়ি ভেঙে নতুন জেলা হচ্ছে আলিপুরদুয়ার। আর পুরুলিয়ার দু’টি মহকুমা পুরুলিয়া ও রঘুনাথপুর ভেঙে ৪টি করা হচ্ছে। নতুন দু’টি মহকুমা হবে ঝালদা ও মানবাজার।
বর্তমানে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে কী পরিকাঠামো রয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে প্রতিটি দফতরের কাছে। কোথায় কী কী অফিস রয়েছে, কর্মী ক’জন, কী কী আসবাব প্রয়োজন, কোন জেলায় নতুন কী অফিস করতে হবে, তার জন্য কত জমি লাগবে, সেই জমি রয়েছে কি না এ সব তথ্যই পাঠাতে বলা হয়েছে। জেলা ভাগ হলে মহকুমার সংখ্যাও বাড়বে। বাড়বে ব্লকের সংখ্যা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে ভেঙে ঝাড়গ্রাম মহকুমা নিয়ে একটি জেলা হচ্ছে। আগে ঝাড়গ্রাম একটি মহকুমা ছিল। ছিল ৮টি ব্লক। তা বেড়ে হবে ৩টি মহকুমা ও ১১টি ব্লক। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন অফিসের জন্য কর্মী, আধিকারিক-সহ যাবতীয় পরিকাঠামো লাগবে। কী কী লাগবে সেই তথ্য সংগ্রহের কাজয ১৭ অগস্টের মধ্যে শেষ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। আর জেলাভাগের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে সরকারি ভাবে নতুন জেলার কথা ঘোষণা হতে পারে। তার আগে পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। এ জন্য আগেই ৪ সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছিল। কমিটিতে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর, অর্থ এবং কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির পাশাপাশি ডিভিশনাল কমিশনারকে রাখা হয়েছিল। কমিটি গঠনের পরেই এ বার সব তথ্য চেয়ে তিন জেলার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতদিন জেলাভাগ নিয়ে নানা স্তরে বৈঠক হয়েছে, কিন্তু সরকারি ভাবে জেলা প্রশাসনের কাছে তেমন চিঠি আসেনি। সম্প্রতি চিঠি আসে ৪ সদস্যের কমিটির কথা জানিয়ে। তারপরই তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ সংবলিত এই চিঠি।
|
|
|
|
|
|