|
|
|
|
এসএসসি |
প্রশ্ন-বিভ্রাটে কর্তার তর্জনী ‘ভিতরের’ লোকেদের দিকেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র-বিভ্রাটের জন্য ‘ভিতরের’ কিছু লোকও দায়ী বলে জানালেন স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। তবে ভিতরের এই লোকেরা কারা, সেই বিষয়ে বিশদ ভাবে কিছু বলতে চাননি তিনি। তবে চেয়ারম্যান জানিয়ে দিয়েছেন, কমিশনের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে যে-রিপোর্ট পাঠানো হবে, তাতে বিষয়টি উল্লেখ করা হবে।
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা বাছাইয়ের জন্য পরীক্ষা নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। গত রবিবার ছিল কমিশনের লেখা পরীক্ষা। রাজ্য জুড়ে ৫৫ হাজার শিক্ষক-পদের জন্য প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ প্রার্থী ওই পরীক্ষায় বসেন। কিন্তু প্রশ্নপত্র-বিভ্রাটের জেরে ওই পরীক্ষাকে ঘিরে ব্যাপক গোলমাল হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। কোথাও কোথাও প্রশ্নপত্র পৌঁছতে দেরি হয়। দেরিতে প্রশ্নপত্র আসায় পরীক্ষা দিতে অস্বীকার করেন প্রার্থীরা। কোনও কোনও কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর তুলনায় কম প্রশ্নপত্র পৌঁছয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্রই ছিল ভুল। কিছু পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ডে লেখা পরীক্ষা কেন্দ্রের ঠিকানাতেও ভুল ছিল। এই নিয়ে তোলপাড়ের পরে পাঁচটি কেন্দ্রে ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানায় রাজ্য সরকার।
কেন গোলমাল হল, কমিশনের কাছে সেই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে রাজ্য। পরীক্ষার দিনেই কমিশনের চেয়ারম্যান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পূর্বপরিকল্পিত ভাবে গণ্ডগোল বাধানো হয়েছে। তবে কে বা কারা এর পিছনে আছে, সেই বিষয়ে সে-দিন তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বলেছিলেন, “আমি জানতাম যে, এসএসসি-র পরীক্ষা ফের নিতে বাধ্য করানো হবে বলে প্রচার চালিয়েছিল কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি। একটা অশান্তি করার চেষ্টা যে চলছে, সেটা আঁচ করতে পেরেছিলাম।” তার পরেই বুধবার ‘ভিতরের’ কিছু লোকেরও ওই বিভ্রাটে হাত আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। গোলমালের কারণ নিয়ে এ দিন কমিশনের আঞ্চলিক অফিসগুলির চেয়ারম্যানদের সঙ্গে সবিস্তার আলোচনা করেন চিত্তবাবু। পরে তিনি বলেন, “রাইপুর কাশিয়াড়া হাইস্কুলে একটিও উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) পৌঁছয়নি। কী করে এমনটা হল, বুঝতে পারছি না।” তাঁর অভিযোগ, পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে বিষয়-ভিত্তিক প্রশ্নপত্র ঠিক ভাবে পাঠানো হয়নি। ২০ শতাংশ পরীক্ষা কেন্দ্রে দেরিতে প্রশ্ন পৌঁছেছে। তার পরেই চেয়ারম্যান মন্তব্য করেন, “আসলে ভিতর-বাইরের লোকেরা অসহযোগিতা করেছেন।”
|
|
|
|
|
|