বামফ্রন্ট পরিচালিত সোনামুখী পুরসভার সিপিএম পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে বেনিয়ম ও অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে অনাস্থা আনলেন তৃণমূলের কাউন্সিলরা।
বুধবার বিকেলে তৃণমূলের ৬ এবং তৃণমূল সমর্থিত ১ নির্দল কাউন্সিলরের স্বাক্ষরিত অনাস্থা প্রস্তাব পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিকের কাছে জমা দেওয়া হয়। তার আগে ওই ৭ কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা সোনামুখী শহরে মিছিল করেন। বামবোর্ডের ব্যর্থতার শ্লোগান দেওয়া হয়। ওই সময় পুরভবনে পুরপ্রধান ও উপপুরপ্রধান ছিলেন না। |
পুরসভার বিরোধী নেতা তৃণমূলের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “পুরসভার উন্নয়ন পিছিয়ে যাওয়ায় বামবোর্ডের দুই সদস্য আমাদের সমর্থন করার আশ্বাস দেওয়ায় পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছি। তবে এখনই ওই দুই বাম কাউন্সিলরের পরিচয় প্রকাশ করছি না।” যদিও অনুন্নয়নের অভিযোগ মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি করেছেন পুরপ্রধান কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “টাকা ছড়িয়ে আমাদের বোর্ড ভাঙার যে চেষ্টা বিরোধীরা করছেন, তা ব্যর্থ হবে।”
পুরসভার কার্যনির্বাহী আধিকারিক নির্মলেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “৭ কাউন্সিলরের স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্র পেয়েছি। বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসকের কাছে তা পাঠিয়ে দেব।” তিনি জানান, অনাস্থা পত্র জমা পড়ার ১৫ দিনের মধ্যে আস্থা ভোট হওয়ার নিয়ম। উল্লেখ্য, এই পুরবোর্ডের মোট আসন ১৫। সিপিএমের ৭ ও আরএসপি-র ১ সদস্য সহ বামফ্রন্টের মোট ৮ জন সদস্য রয়েছেন। বিরোধী পক্ষে তৃণমূলের ৬, তৃণমূল সমর্থিত ১ নির্দল সদস্য রয়েছেন। |