শিক্ষকেরা নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে আসেন না। ফলে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে, এই অভিযোগে স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্ররা। ছাত্রদের অভিযোগ, দূরে থাকার কারণে অনেক ছাত্রের স্কুল আসতে দেরি হলে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয় না। অথচ শিক্ষকেরা দেরিতে এলে ঢুকতে পান। তার প্রতিবাদেই তাঁরা স্কুলের গেটে তাল ঝুলিয়ে দেন। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি নিত্যানন্দ হাইস্কুলে তালা দেওয়ার ওই ঘটনায় দশম শ্রেণির দুই ছাত্রকে স্কুলে থেকে বের করে দেওয়া হবে বলে ছাত্রদের অভিযোগ নিয়ে স্কুলে উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ছাত্ররা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। যদিও প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ গাইন বলেন, “দুই ছাত্রকে বের করে দেওয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ঠিক নয়।” তিনি জানান, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের স্কুলে আসার নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। সময় পেরিয়ে গেলে স্কুলের গেটে তালা দেওয়া হয়। গেট বন্ধ থাকায় টিফিনের সময় ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের বাইরে যেতে পারে না। খাবারের দোকানিদের জিনিস বিক্রি করতে অসুবিধা হয়। এই নিয়ে কয়েকজন বহিরাগত ছাত্রছাত্রীদের ভুল বোঝানোয় তারা অন্যায়ভাবে স্কুলে তালা ঝোলায়। এ নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্য ও অভিভাবকদের আলোচনায় ডাকা হয়েছিল। কোনও ছাত্রকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়।
অন্যদিকে, স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি গোবিন্দ গাইন বলেন, “শিক্ষকেরা স্কুলে দেরিতে আসেন এবং আগে চলে যান। এ নিয়ে ছাত্রদের ক্ষোভ ছিল। শিক্ষকদের দেরিতে আসার প্রতিবাদে এ দিন ছাত্ররা স্কুলের গেটে তালা ঝোলায়। এ জন্য দু’জন ছাত্রের বইপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। তাদের টিসি দেওয়ার কথা বলা হয়। তা ছাড়া টিফিনের সময় স্কুলের গেট বন্ধ থাকায় ছাত্ররা বাইরে খাওয়ার জিনিস কিনতে যেতে পারে না। স্কুলের ভিতরে থাকা খাবার দোকানে দাম বেশি। এ সব নিয়ে আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছি।” অভিভাবকদের বক্তব্য, যদি দেরিতে এলে শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া হয়, তা হলে ছাত্ররা দেরি করলে তাদেরও ঢুকতে দেওয়া উচিত। |