|
|
|
|
বরাদ্দ টাকা নেই, থমকে সেতুর কাজ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
আড়াই বছর আগে কাজ শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি ললাট-জনকা রোডের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রতাপদিঘি সেতু। কিছুটা কাজ হয়ে কাজ আটকে থাকায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কাজে গড়িমসির অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দল-সহ এলাকার মানুষ।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, পটাশপুর-২ ব্লক সদর প্রতাপদিঘিতে বারচৌকা-কালীনগর খালের উপর এই সেতুটি ২০০৭ সাল থেকে ভগ্নপ্রায় অবস্থায় ছিল। দীর্ঘ দিন ধরে সেতুটি ব্যবহার না হওয়ায় প্রশাসনের উদ্যোগে ২০০৯ সালে তা সম্পূর্ণ ভেঙে ফেলা হয়। সেতু তৈরির দায়িত্ব নেয় পূর্ত দফতর (রাস্তা) তমলুক হাইওয়ে ডিভিশন। কাজও শুরু করে তারা। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চারটি পিলার ছাড়া কাজ একটুও এগোয়নি। প্রতাপদিঘি থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ললাট, পূর্ব মেদিনীপুরের জনকা, বাল্যগোবিন্দপুর ও পাহাড়পুরে মোট চারটি গুরুত্বপূর্ণ পাকা রাস্তা গিয়েছে। এলাকার যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে এই সেতুটি তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইটাবেড়িয়া, অর্জুননগর, আড়গোয়াল, মথুরা, সাউৎখণ্ড, শ্রীরামপুর ও পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজন নিত্য প্রয়োজনে এই সেতুই ব্যবহার করে থাকেন। |
|
ঢিমেতালে চলছে প্রতাপদিঘি সেতুর কাজ। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
সিপিএম-এর প্রতাপদিঘি জোনাল কমিটির সম্পাদক কালীপদ দাসমহাপাত্র বলেন, “পূর্ত দফতরের অপদার্থতার কারণে কাজ এগোচ্ছে না। প্রায় দু’লক্ষ মানুষকে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।” পটাশপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ্য তূণমূল নেতা অপরেশ সাঁতরা বলেন, “গুরুত্ব বুঝে দ্রুত কাজ শেষ করা উচিত। খাল পারাপারের জন্য বছর তিনেক আগে একটা কাঠের সেতু তৈরি করা হলেও তা বর্ষাকালে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তাছাড়া তৈরির পর থেকে তা সংস্কারও হয়নি। ছোট যান ছাড়া বড় কোনও যান ওই সেতু দিয়ে পারাপার করতে পারে না। ফলে এই এলাকায় পরিবহণ ব্যবস্থা খুবই দুর্বল।”
পূর্ত দফতরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শঙ্করনারায়ণ সাহা ও জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “ওই সেতু তৈরি করা নিয়ে প্রথমে যে প্রকল্প তৈরি করা হয়, তার ভিত্তিতেই বরাদ্দ হয়েছিল ২ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। তাতে কিছুটা কাজও এগোয়। কিন্তু বন্যাপ্রবণ এলাকা এবং ওই জোয়ার ভাঁটায় খালের জল লবণাক্ত হওয়ায় সেতুর স্থায়িত্ব বাড়াতে ওই সেতুর প্রকল্পের পরিবর্তন করা হয়। ফলে মোট প্রকল্প মূল্য দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। বাড়তি টাকার অনুমোদনের জন্য রাজ্যস্তরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনও অনুমোদন না পাওয়ায় কাজে এগোনো যাচ্ছে না।” তবে দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তাঁরা জানান, বাড়তি টাকার অনুমোদন পেলেই কাজে এগোনো যাবে। কাঠপুলের অবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে সংস্কারে উদ্যোগী হওয়ার কথাও জানান মামুদবাবু।
|
|
|
|
|
|