|
|
|
|
পথে নামার ডাক দীপকের |
শহরে দু’দিনের অবস্থান-বিক্ষোভ বামেদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যের সঙ্গে এই জেলাতেও বিশৃঙ্খলা চলছে। চলছে অরাজকতা। এ সব বন্ধে মানুষকে পথে নামার ডাক দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক দীপক সরকার। তাঁর অভিযোগ, “পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে রাখা হয়েছে। নতুন করে শিল্প হচ্ছে না। লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ঘটে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই পথে নামতে হবে।”
বুধবার থেকে মেদিনীপুর শহরের নান্নুরচকে শুরু হয়েছে জেলা বামফ্রন্টের অবস্থান- বিক্ষোভ। আজ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের নানা ‘জনবিরোধী নীতি’র সমালোচনা করেন দীপকবাবু। সভায় উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পণ্ডা, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা প্রমুখ। বামফ্রন্ট সরকারের সাফল্যে এখন সবুজ রং লাগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে দীপকবাবু বলেন, “বছর দুই আগে খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুরে বিদ্যাসাগর শিল্পতালুক গড়ে উঠেছে। এটা বামফ্রন্ট সরকারের উদ্যোগ। আর এখন তার সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় ছবি রয়েছে। |
|
নান্নুরচকে জেলা বামফ্রন্টের বিক্ষোভ-সভায় দীপক সরকার। —নিজস্ব চিত্র। |
দেখলে মনে হবে, শিল্পতালুক এই সরকারের আমলে হয়েছে।” একশো দিনের প্রকল্পে কাজ করেও শ্রমিকেরা মজুরি পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “এ জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারই দায়ী। সরকার মজুরি বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করছে না। ফলে শ্রমিকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”
মাত্র ১৫ মাসে যে কোনও সরকারের কাজকর্মের পর্যালোচনা করা যায় না, সভায় তা-ও কবুল করেন জেলা সম্পাদক। তাঁর কথায়, “১৫ মাস কোনও সরকারের বিরুদ্ধে শেষ কথা বলার সময় নয়, সেটা আমরা জানি। কিন্তু, মানুষ কী দেখতে চেয়েছিলেন, আর এই সময়ের মধ্যে কী পেলেন, সেটা ভাবতে হবে। লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। শুধু বিবৃতি দিয়ে, অভিনয় করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না।”
মূলত, খাদ্যের নিরাপত্তা ও মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকরী ব্যবস্থার দাবিতেই দু’দিন ব্যাপী এই অবস্থান-বিক্ষোভ। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরব হন সাংসদ প্রবোধ পণ্ডাও। তিনি বলেন, “খাদ্যের নিরাপত্তা মানুষের অধিকার। সর্বজনীন গণবন্টন ব্যবস্থা প্রয়োজন। জনস্বার্থবাহী বিকল্প খাদ্যনীতি চাই।” এই সব দাবিতে আগামী দিনে জোরদার আন্দোলন হবে বলেও ফ্রন্টের জেলা
নেতৃত্ব জানিয়েছেন।
|
|
|
|
|
|