|
|
|
|
ডিজেল লোকোশেডে বিক্ষোভ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
এক রেল আধিকারিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে বুধবার সকালে খড়্গপুরে রেলের ডিজেল লোকো শেডে ফের বিক্ষোভ দেখালেন কর্মীরা। পরে খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, কর্মস্থলে হাজিরার বিষয় নিয়ে আগেই সিনিয়র ডিভিশনাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ডিজেল) রজনীশ সিংহের সঙ্গে বেশ কয়েকজন কর্মীর বচসা বেধেছিল। কর্মীদের হাজিরার হিসেব রাখার জন্য লোকো শেডে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র রয়েছে। কর্মীদের অভিযোগ, মেশিনটিতে গোলযোগ রয়েছে। যাঁরা কাজ যোগ দিচ্ছেন, তাঁদেরকেও অনুপস্থিত বলে দেখানো হচ্ছে। |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
গত ১৯ জুলাই এই নিয়ে রজনীশবাবুর সঙ্গে কর্মচারীদের বচসা বাধে। সুকান্ত মল্লিক নামে এক কর্মীকে রজনীশবাবু অন্যায় ভাবে মারধর করেছেন, অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান অন্যরা। পরে পুলিশ এসে রজনীশবাবুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ওই রাতে এডিআরএম-এর দফতরে বৈঠক হয়েছিলযেখানে পুলিশ অফিসার, লোকো শেডের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তবে বিবাদ যে মেটেনি, বুধবারের ঘটনা থেকে তা স্পষ্ট।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ লোকো শেডে রজনীশবাবু আসার পরেই জড়ো হতে শুরু করেন কর্মীরা। এরপর বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ-স্লোগান ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন-এর (খড়্গপুর) ওপেন লাইন ব্রাঞ্চ-১ এর সম্পাদক মানিকচন্দ্র দে বলেন, “ওই অফিসার শেডে এলে কর্মীরা কাজ করবেন না বলে জানিয়েছেন। উনি নানা ভাবে কর্মচারীদের হেনস্থা করেন।” কর্মীদের একাংশ ওই অফিসারকে অন্যত্র বদলি করার দাবি হছেন। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রজনীশবাবু। বিক্ষোভের জেরে এ দিন প্রায় দু’ঘন্টা লোকো শেডে কাজ বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন রেল-কর্তৃপক্ষ।
|
|
|
|
|
|