|
|
|
|
খড়্গপুরে উধাও লরি মিলল কোলাঘাটে, ধৃত দুই যুবক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ঠান্ডা পানীয়ের বোতল বোঝাই একটি লরির ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিল খড়্গপুর থেকে। মাঝরাস্তা থেকে ‘হাইজ্যাক’ করা হয়েছিল লরিটি। লরির মালিক থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে কোলাঘাটে লরিটির হদিস পেল পুলিশ। দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হলে ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনায় অন্তত ৬ জন জড়িত রয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
সোমবার রাতে ঠান্ডা পানীয়ের বোতল বোঝাই লরিটি খড়্গপুরের চৌরঙ্গি ও সাদাতপুরের মাঝে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিল। চালক লরির মধ্যেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই কয়েকজন যুবক আচমকা লরিতে উঠে চালককে মারধর করে। পরে তাঁদেরই একজন লরি চালাতে শুরু করে। প্রথমে খড়্গপুরের দিক থেকে মেদিনীপুরে আনা হয়েছিল লরিটি। গভীর রাতে গোপগড়ের জঙ্গলের কাছে চালককে নামিয়ে লরি নিয়ে চম্পট দেয় ওই যুবকেরা।
রাতেই প্রহৃত চালকের সঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দার দেখা হয়। তাঁর মোবাইল থেকেই পুরো ঘটনাটি লরির মালিককে জানান চালক। দেরি না করে বিষয়টি পুলিশকে জানান লরির মালিক। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে জানা যায়, ‘হাইজ্যাক’ করা লরিটি কোলাঘাটের এক জায়গায় রয়েছে। কোলাঘাট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে খড়্গপুর লোকাল থানার পুলিশ। দুই থানা যৌথ অভিযান চালিয়ে লরিটি উদ্ধার করে। দুই যুবককে গ্রেফতারও করা হয়। তারা লরির মধ্যেই ছিল। ধৃত রাজ গোস্বামী ও রাজু রাণার বাড়ি মেদিনীপুর শহরের নিবেদিতাপল্লিতে। বুধবার ধৃতদের মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে হাজির করা হয়েছিল। খড়্গপুর লোকাল থানার ওসি বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “তদন্তে সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|