পুরভবনে ঢুকতে বাধা |
আদিবাসী পড়ুয়ার সব স্কুলে অলচিকি শিক্ষক এ বছরেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জঙ্গলমহলে ৫০ জন আদিবাসী ছাত্রছাত্রী রয়েছে, এমন সব স্কুলেই অলচিকি জানা শিক্ষক নিয়োগে উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। ইতিমধ্যেই ১০৭টি স্কুলে শিক্ষক-নিয়োগের কাজ শেষ হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের। আরও কিছু স্কুলে নিয়োগের উদ্যোগ চলছে। অনেক স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাসঘর তৈরির জন্য চুক্তির ভিত্তিতে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে। এত দিন অতিরিক্ত ক্লাসঘর তৈরির জন্য স্কুলগুলিকে অর্থ বরাদ্দ করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা পড়ে থাকত। আর যাতে এমন না হয়, সে জন্যেই সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত।
পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকান্তি সাইনি বলেন, “অগস্ট মাসের মধ্যেই অলচিকি জানা শিক্ষক ও ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের কাজ শেষ হবে।” জেলায় সর্বশিক্ষা মিশনের প্রোজেক্ট অফিসার শাশ্বতী দাসও বলেন, “আমরা দ্রুত কাজ চাই। প্রত্যেক ইঞ্জিনিয়ারকে ৩ মাসে ক’টি ক্লাসরুম তৈরি করতে হবে তার লক্ষামাত্রা দেওয়া হবে। তার মধ্যে কাজ না করতে পারলে চুক্তি বাতিল হবে।” |
|
সাঁওতালি ভাষায় পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার আগে প্রার্থীদের
নথিপত্র যাচাই ঝাড়গ্রামের একটি কেন্দ্রে। বুধবার দেবরাজ ঘোষের ছবি। |
এই জেলার জঙ্গলমহলে ১১টি ব্লকে আদিবাসীদের বাস বেশি। ওই এলাকার স্কুলগুলিতে দীর্ঘ দিন ধরেই অলচিকি লিপিতে পঠনপাঠনের দাবি জানিয়ে এসেছেন স্থানীয় মানুষ। সরকারি ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, যে-সব স্কুলে ন্যূনতম ৫০ জন আদিবাসী ছাত্রছাত্রী রয়েছে, সেখানে সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পে চুক্তির ভিত্তিতে অলচিকি জানা শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। জঙ্গলমহলের ১১টি ব্লকে ২৯০টি স্কুলে ৪৪৮ জন অলচিকি জানা শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছিল। গত আর্থিক বছরে ১০৭টি স্কুলে ২০১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এ বার বাকি ১৯৩টি স্কুলে ২৪৭ জনকে নিয়োগের উদ্যোগ হয়েছে।
জেলার ৬৯টি চক্রের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিকাঠামোগত নানা সমস্যাই রয়েছে। স্কুলগুলিতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে। অথচ ক্লাসঘর যথেষ্ট নেই। অতিরিক্ত ক্লাসঘর তৈরির জন্য সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ হলেও অনেক ক্ষেত্রেই কাজ এগোতো না। সে ক্ষেত্রে আবার ইঞ্জিনিয়ারের সমস্যা। এত দিন ৬৯টি চক্রে মাত্র ২৫ জন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বাকি ৪৪টি চক্রে চুক্তির ভিত্তিতে এক জন করে ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের উদ্যোগ হল এ বার। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ৪ হাজার ৪৭২টি অতিরিক্ত ক্লাসঘর তৈরির জন্য অর্থও এসেছে ইতিমধ্যে। অতিরিক্ত ক্লাসঘরের পাশাপাশি প্রতিটি স্কুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা ও শৌচালয় তৈরির উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। |
|