|
|
|
|
পুরভবনে ঢুকতে বাধা |
পুলিশ-প্রশাসনের দ্বারস্থ হলদিয়ার বাম কাউন্সিলাররা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ক’দিন ধরেই হলদিয়া পুরসভার প্রবেশপথ আটকে চলছে বিক্ষোভ। দলীয় পতাকা না থাকলেও বিক্ষোভকারীরা তৃণমূল সমর্থক হিসেবেই পরিচিত। পুরভবনে ঢুকতে না পেরে উপ-পুরপ্রধান নারায়ণ প্রামানিক মঙ্গলবারই ভবানীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বুধবার হলদিয়া পুরসভার সব বাম কাউন্সিলর তমলুকে এসে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানান।
হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের জমি বেআইনি ভাবে একটি সংস্থাকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাম পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে। ওই ফৌজদারি মামলায় নাম জড়িয়েছে পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডাশেঠের। তিনি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদনও করেছেন। তবে ক’দিন হল পুরসভায় আসছেন না। পুরপ্রধান গ্রেফতারের ভয়ে পুরসভায় আসছেন না বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তাঁকে পুরসভায় আসতে হবে, এই দাবিতেই গত সোমবার থেকে পুরসভবনের প্রবেশপথ আটকে চলছে বিক্ষোভ। উপ-পুরপ্রধান নারায়ন প্রামাণিক বলেন, “পুরসভার অফিসের প্রবেশপথ আটকে রেখেছে তৃণমূল সমর্থকেরা। সোমবার আমি ঢুকতে গেলে বাধা দেয় ওরা। হুমকি দিয়ে বলে, ‘যতদিন না পুরপ্রধান আসবে আপনাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।” নারায়ণবাবুর আরও অভিযোগ। |
|
তমলুকে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বাম কাউন্সিলরেরা। —নিজস্ব চিত্র। |
মঙ্গলবার পুরসভার কাউন্সিলর তথা চেয়ারম্যান-ইন কাউন্সিল তাপসী মণ্ডল অফিসে ঢুকতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করে তৃণমূল সমর্থকরা। পুরসভার প্রবেশপথ যাতে অবরুদ্ধ না হয়। এ দিন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে সেই আর্জিই জানানো হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ কুমার জৈন বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। আইনত যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।” অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) মলয় হালদারের বক্তব্য, “অফিসে ঢুকতে বাধা পাওয়ার বিষয়ে হলদিয়া পুরসভার কাউন্সিলরদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
হলদিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলর স্বপন নস্কর পুরসভার প্রবেশপথ আটকে রাখার কথা স্বীকার করে বলেন, “পুরপ্রধান অফিসে আসছেন না। বাসিন্দারা পুর-পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। আমাদের সমর্থকরাও রয়েছে। তবে বাম কাউন্সিলরদের অফিসে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের দেবপ্রসাদ মণ্ডলের পাল্টা অভিযোগ, “পুরপ্রধান অফিসে না আসা সত্ত্বেও পুরসভার আর্থিক লেনদেন হচ্ছে। উপ-পুরপ্রধান আর্থিক লেনদেন করছেন আমরা জেলা প্রশাসনে অভিযোগ জানানো হবে।” উপ-পুরপ্রধান জানান, পুরসভার শ্রমিকদের বেতন-সহ জরুরি পরিষেবার জন্য অর্থ খরচের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারদের পাওনা-সহ বড় কোনও টাকা খরচের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
|
|
|
|
|
|