ইন্দিরা আবাসের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, শীর্ষে আরারিয়া
ন্দিরা আবাস যোজনার মতো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা যে বিহারে নয় ছয় হয়েছে, তা আগেই শোনা গিয়েছিল। পুলিশের কাছে এই ব্যাপারে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এ বার জানা গিয়েছে, এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্যের মধ্যে দুর্নীতির তালিকার শীর্ষে রয়েছে আরারিয়া জেলা। এখানে গত এক বছরে ১২২ জন অভিযুক্তকে পুলিশ ধরতে পারেনি।
মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের নির্দেশে ডিজিপি অভয়ানন্দ চিঠি দিয়ে আরারিয়া জেলার পুলিশ সুপারকে এই ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। চিঠিতে ডিজিপি-র বক্তব্য, ৪০টি অভিযোগের ভিত্তিতে ১২২ জনকে গ্রেফতার করা যায়নি। তদন্তে পুলিশের গাফিলতিকে দায়ী করে ডিজিপি জেলার পুলিশ সুপারকে আরও সক্রিয় হতে বলেছেন। জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।
আরারিয়া জেলায় সেবা যাত্রায় বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে ইন্দিরা আবাস যোজনা নিয়ে অনেক অভিযোগ শুনতে হয়েছিল। গরিব মানুষরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের থাকার মতো ঘর নেই। অথচ টাকা থাকা সত্ত্বেও তাঁদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতি নিয়ে জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযোগও জমা পড়েছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পরে রাজ্য পুলিশের সদর থেকেও একটি রিপোর্ট দেওয়া হয়। তাতে দেখা যায়, আরারিয়া জেলার বিভিন্ন থানায় ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ৮৭টি অভিযোগ জমা পড়ে। তাতে ৪০১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে এখনও ৪০টি অভিযোগের এখনও কোনও কিনারা করা যায়নি। এই মামলাগুলিতে ১২২ জন অভিযুক্ত বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ডিজিপি তাঁর চিঠিতে ওই অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, “এই সব অভিযোগের দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।” প্রসঙ্গত, আরারিয়া জেলার পুলিশ সুপার শিউদীপ লাণ্ডে ‘যোগ্য’ পুলিশ অফিসার হিসেবেই পরিচিত। পটনার পুলিশ সুপার (শহর) পদ থেকে তাঁকে আরারিয়ায় বদলির সময় শহর জুড়ে ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন পটনাবাসী। সেই সময় তাঁদের দাবি ছিল, এই পুলিশ সুপারকে বদলি করা যাবে না। কারণ সেই সময় রাজধানী শহরে অপরাধ যেমন কমেছিল, তেমনই এই অফিসার ট্রাফিক পদে থাকার সময় শহরের যানসাসনও অনেক বেশি কার্যকর হয়েছিল। লাণ্ডের বদলি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির জন্য সেই সময় ওই লাণ্ডেকে বদলি হতে হয়েছিল। সেই পুলিশ সুপারই এখন বিপাকে। লাণ্ডের বক্তব্য, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে অভিযোগগুলি জমা পড়ে। আমি আসার পরে ৮টি অভিযোগ পাই। চারটি ক্ষেত্রে গ্রেফতার করা যায়নি। এই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত এডিএম, বিডিও-সহ অনেক সরকারি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.