|
|
|
|
রাজ্যের ভাবমূর্তি ফেরানোর সুযোগ |
আইআইটি প্রাক্তনীদের সম্মেলন ডিসেম্বরে শহরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
রাজ্যের ভাবমূর্তি উদ্ধারের আর একটি সুযোগ।
শিল্পায়নের ‘গৌরবময়’ অতীত যখন বলতে গেলে নস্টালজিয়ায় পর্যবসিত, সেই সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত পেশাদার ও লগ্নিকারীদের মঞ্চে রাজ্যকে তুলে ধরার সুযোগ নিয়ে আসছেন আইআইটি-র প্রাক্তনীরা। ৭-৯ ডিসেম্বর তাঁদের সংগঠন ‘প্যান-আইআইটি’-র আন্তর্জাতিক সম্মেলন হবে কলকাতায়।
আইআইটি উত্তীর্ণদের অনেকেই বড় কর্পোরেট সংস্থার কর্তা। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা পরিচিতিও গড়ে তুলেছেন তাঁরা। স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন ওঠে, দেশের উন্নয়নে তাঁরা কতটা শরিক হচ্ছেন? ব্যক্তিগত ভাবে সামাজিক উদ্যোগে অনেকে সামিল হলেও, প্রাক্তনীদের দাবি, সমষ্টিগত ভাবে সামাজিক উন্নয়নে শরিক হতেই ১০ বছর আগে প্যান- আইআইটি-র সূচনা। আমেরিকায় এক বছর ও পরের বছর ভারতে তাদের সম্মেলন বসে। |
|
বুধবারের বৈঠকে জ্ঞানময় মজুমদার, মিহির বিশ্বাস, রমেন চট্টোপাধ্যায়,
পুণ্যব্রত ব্রহ্মচারী এবং সত্যেশ মুখোপাধ্যায় (বাঁ দিক থেকে)। —নিজস্ব চিত্র |
এ বার কলকাতার সুযোগ পাওয়ার কথা বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে জানান প্যান-আইআইটির উপদেষ্টা ওয়াই সি দেবেশ্বর। কিন্তু কেন কলকাতা? জবাবে রাজ্যের হৃতগৌরবের কথাই উঠে এসেছে তাঁদের কথায়। দেবেশ্বর বলেন, “এ রাজ্য এক সময় ছিল শিল্পের অন্যতম কেন্দ্র। এটা কলকাতার কাছে আর একটা সুযোগ। কেন লগ্নি এ রাজ্যে আসবে, সেটা তুলে ধরাই লক্ষ্য।” সহমত হন সম্মেলনের চেয়ারম্যান সন্দীপন চক্রবর্তী ও প্যান-আইআইটির অন্যতম কর্তা অনিরুদ্ধ লাহিড়ীও। নানা কারণে রাজ্যের ভাবমূর্তি নিয়ে আগেও সরব হয়েছে শিল্পমহল।
ভারতের প্রথম আইআইটিখড়্গপুরে ১৯৫৫-র প্রথম ব্যাচে উত্তীর্ণ পাঁচ প্রাক্তনী জ্ঞানময় মজুমদার, মিহির বিশ্বাস, রমেন চট্টোপাধ্যায়, পুণ্যব্রত ব্রহ্মচারী, সত্যেশ মুখোপাধ্যায়ও হাজির ছিলেন এ দিন। রাজ্যের এক সময়ের শিল্পায়নের উজ্জ্বল ছবি রয়েছে তাঁদের স্মৃতিতে। খুব অল্প খরচে আইআইটি-তে পড়ার সুযোগও ভুলতে পারেন না তাঁরা। সেই সূত্রেই সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রশ্নে প্যান-আইআইটি-র সমষ্টিগত উদ্যোগ জরুরি, মত তাঁদের। |
|
|
|
|
|