পুজোর বাকি মাত্র আড়াই মাস। অথচ, রাজ্যের পুজোকে বিশ্ব-পর্যটনের মানচিত্রে নিয়ে যাওয়ার সরকারি পরিকল্পনা এখনও অসম্পূর্ণ। বেশির ভাগ বিষয়ই এখনও ভাবনার স্তরে।
পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ বুধবার মহাকরণে জানান, কল সেন্টারে ফোন করে পুজোর সময়ে হোটেল বুকিং এবং অন্যান্য বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন পর্যটকেরা। কিন্তু কোন কল সেন্টার সে সব তথ্য জানাবে, তা এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি পর্যটন দফতর।
গত বছর একই ভাবে পুজোর আগে তড়িঘড়ি পর্যটনের পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার। স্বাভাবিক নিয়মেই তা ব্যর্থ হয়। রাজ্য ও দেশের বাইরের পর্যটকদের কাছ থেকে ওই প্রকল্পে তেমন সাড়া মেলেনি। কিন্তু সেই ব্যর্থতা থেকে পর্যটন দফতর যে এতটুকুও শিক্ষা নেয়নি, তা এ দিনের পর্যটনমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট। ভিন্ রাজ্যের পর্যটকদের টানতে দিল্লি, মুম্বই, সুরাত, বেঙ্গালুরু-সহ বিভিন্ন শহরে রোড শো করার কথা ভেবেছে পর্যটন দফতর। কিন্তু এ পর্যন্ত তা হয়েছে শুধু বেঙ্গালুরুতেই। পর্যটনমন্ত্রীর কথায়, “দিল্লি, সুরাতের মতো শহরে ট্যুর অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের কথা ভাবছি।”
পর্যটনমন্ত্রী জানান, পর্যটকদের জন্য বিশেষ ‘টাচ স্ক্রিন’ ডায়েরির ব্যবস্থা করছে সরকার। অতীতে কলকাতার পুজো নিয়ে বিভিন্ন তথ্য ও ছবি থাকবে তাতে। হাওড়া, শিয়ালদহ ও কলকাতা রেলস্টেশন এবং কলকাতা বিমানবন্দরে পুলিশ এবং পর্যটন দফতর যৌথ ভাবে ‘হেল্প ডেস্ক’ খুলবে। সেখানে পর্যটকদের জন্য হোটেল বুকিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাহায্যের ব্যবস্থা থাকবে।
কিন্তু পরিকল্পনার ক্ষেত্রে গোড়ায় গলদ থেকেই গিয়েছে। পুজোর পর্যটনের মাধ্যমে রাজ্যের কত আয় হবে, তার উত্তর দিতে পারেননি পর্যটনমন্ত্রী। তাঁর উত্তর, “রাজস্ব আয়টাই বড় কথা নয়। এর মাধ্যমে অনেকের জীবিকার সংস্থান হবে, সেটাই বড় কথা।” |