ট্রাক পিছু তোলা আদায় করায় গ্রাম থেকে কলকাতায় আসা সব্জির দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের। বুধবার রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ে বামেদের জমায়েতে সূর্যবাবু বলেন, “কলকাতায় কোনও কৃষক নেই। কিন্তু এখানেও কৃষিপণ্য আইন অনুযায়ী কমিটি গড়ে কর নেওয়া হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় সব্জির ট্রাক পিছু ১৪০০ টাকা করে তোলা নেওয়া হচ্ছে। যারা করছে, তাদের অনেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। ফলে জিনিসের দাম বাড়ছে।” |
গত মাসে সব্জির দর আকাশ ছুঁয়েছিল। প্রতিবাদে বামেরা পথে নামে। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সেই দর কিছুটা কমে। বামেদের অভিযোগ, গ্রামে কৃষকদের ভয় দেখিয়ে সব্জির দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু ফড়েদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি। এ দিন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত খাদ্য নিরাপত্তা বিল ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলা বামফ্রন্টের জমায়েত ছিল ধর্মতলায়। সেখানে সূর্যবাবু ওই অভিযোগ করেন।
তাঁর বক্তব্য, তোলাবাজদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সূর্যবাবুর কথায়, “তৃণমূলের লোকেরা গ্রামে গিয়ে কৃষকদের বলল, দিদি বলে দিয়েছেন পাঁচ টাকার বেশি দাম নেওয়া যাবে না। অর্থাৎ উৎপাদন খরচের থেকেও কম দাম নিতে হবে! অথচ, কলকাতায় তোলাবাজরা ট্রাকপিছু টাকা নিচ্ছে। তা বন্ধ হয়নি।”
তবে মমতার খাদ্যপণ্যের আগাম বাণিজ্যের বিরোধিতার প্রশংসা করে সূর্যবাবু বলেন, “আগে না বুঝলেও এখন উনি (মমতা) বুঝেছেন আগাম বাণিজ্য কতটা ক্ষতিকর।” সূর্যবাবু কটাক্ষ করে বলেন, “উনি এনডিএ-র শরিক ছিলেন। এখন ইউপিএ-র শরিক। দুই সরকারই আগাম বাণিজ্য চালু করেছে। উনি তখন প্রতিবাদ করেননি। এখন বামেদের দেখে প্রতিবাদ করছেন।”
বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, “আমরা অনেক কিছুই আগে করেছি। আপনি এখন তা করছেন! আগে আমরা যা গান গাইতাম, এখন আপনারা তা গান।” বামেদের দাবি, খাদ্য সুরক্ষা বিলে এপিএল-বিপিএল প্রভেদ করা যাবে না। রেশনের মাধ্যমে পরিবার পিছু ২ টাকা কেজি দরে মাসে ৩৫ কেজি খাদ্যপণ্য দিতে হবে কেন্দ্রকে। একই দাবিতে দিল্লিতে তিন দিন অবস্থান করছে বামেরা। কলকাতার অবস্থান জমায়েত চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। |