নরেন্দ্র মোদীর পথে হেঁটেই সংস্থার ‘দুঃসময়ে’ এ রাজ্যে মারুতিকে আমন্ত্রণ জানালেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার মারুতির চেয়ারম্যান আর সি ভার্গবকে এ রাজ্যে লগ্নির প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখার জন্য চিঠি দিয়েছেন পার্থবাবু। কর্মী অসন্তোষের জেরে সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের কর্তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশের পাশাপাশি চিঠিতে পার্থবাবু জানিয়েছেন, এ রাজ্যে শিল্প গড়ে তোলার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে। মালিকপক্ষ ও কর্মীদের মধ্যে রয়েছে সুস্থ সম্পর্ক।
মারুতিকে বিনিয়োগ করার আমন্ত্রণ জানালেও জমির সংস্থান কোথা থেকে হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানাননি পার্থবাবু। তবে জমির ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বণিকসভাগুলিকে চিঠি লিখেছেন তিনি। ওই চিঠিতে শিল্পমন্ত্রীর আর্জি, বিভিন্ন সংস্থা পশ্চিমবঙ্গে যে সমস্ত জমি নিয়েও ফেলে রেখেছে, সেগুলিতে হয় শিল্প গড়া হোক, না হলে ওই জমি রাজ্য সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। মারুতিকে জমি দেওয়ার প্রশ্নে তাঁর মত, নামী-দামি গাড়ি কারখানা ৩০০ একর জমির মধ্যেই গড়ে উঠছে। তাই এক লপ্তে অনেকটা জমি দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। পার্থবাবু বলেন, “জমি কোনও সমস্যা হবে না। ওরা জমি চাইলে আমরা জমি দেব।”
গত ১৮ জুলাই মারুতি কারখানায় কর্মী অসন্তোষের জেরে এক উচ্চপদস্থ কর্তার মৃত্যু হয়। আহত হন প্রায় ১০০ জন। এখনও অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার ঘটনায় কারখানার শ্রমিক সংগঠনের দশ নেতাকে এ দিন গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ-সহ শীর্ষ নেতারা। হরিয়ানার ডিজিপি রণজীব সিংহ দালাল জানান, হিসার জেলার হানসি থেকে বুধবার সকালে এঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজস্থান থেকে গুজরাত হয়ে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন তাঁরা। মারুতি-কাণ্ডে এ নিয়ে মোট ১১৪ জন কর্মীকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল।
ডিজিপি জানান, কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মী সংগঠনের নেতারাও পুলিশি হেফাজতে। এই অবস্থায় আবার উৎপাদন শুরু করতে মারুতির ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু নিরাপত্তা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না সংস্থাটি। আর যত ক্ষণ না তা হচ্ছে, তত ক্ষণ কারখানা খোলার ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে তারা। |