দীর্ঘ দশ মাস ধরে প্রাপ্য বেতন পাচ্ছেন না জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের ১৭ জন ঠিকাকর্মী। তাই বুধবার মুরারই ২ পঞ্চায়েত সমিতির অধীন রুদ্রনগর, আমডোল, চাতনা এই তিনটি গ্রামে পাম্পহাউস আছে। এখান থেকে পরিস্রুত পানীয় জল ১৫টি গ্রামে সরবরাহ করা হয়। এই পাম্পহাউসগুলির ১৭ জন কর্মী বকেয়া বেতনের দাবিতে রামপুরহাট মহকুমা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। মঞ্চ করে বিক্ষোভ চালাতে গিয়ে তাঁদের বাধা পেতে হয় বলে অভিযোগ।
ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মহম্মদ ইব্রাহিম বিক্ষোভকারীদের বলেন, “প্রশাসনিক ভবন চত্বরে মঞ্চ করে যেমন আন্দোলন করা যাবে না তেমনি মাইক বাজানো যাবে না।” |
প্রথম দিকে তাঁরা প্রশাসনের দাবির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেননি বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য বিক্ষোভকারীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে রাস্তার ধারে মঞ্চ করে আন্দোলন শুরু করেন। ঠিকাকর্মী সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক দুলাল বক্সী বলেন, “সামনে ঈদ। তাই ৯৯ শতাংশ সংখ্যালঘু কর্মীরা ১০ মাস ধরে তাঁদের প্রাপ্য ভাতা পাচ্ছেন না। প্রশাসনকে বার বার বলা হলেও ঠিকাদার ও ব্লক প্রশাসনের অসাধু যোগসাজোসে কর্মীরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না।” তাঁর দাবি, “শ্রম দফতরের নিয়ম অনুযায়ী অস্থায়ী কর্মীদের মাসিক ৫০৭০ টাকা বেতন হওয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে ঠিকাদার মাত্র ৩ হাজার টাকা দিচ্ছেন।” এ দিন আন্দোলনকারীরা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হরেকৃষ্ণ পালের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। হরেকৃষ্ণ পাল বলেন, “ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা হবে।” মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “কাজ করলে অবশ্যই তাঁদের প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |