তৃণমূলের কোন্দলে ফের প্রধান বদল সীতাহাটিতে |
যাঁকে প্রধান পদ থেকে সরানোর ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি, তাঁরই সমর্থনে কেতুগ্রামের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হলেন তৃণমূল সদস্য বিকাশ বিশ্বাস। প্রাক্তন প্রধান আতাউর রহমান চৌধুরী ও বিকাশবাবু ‘হাত মিলিয়ে’ পরাজিত করলেন প্রধান পদে তৃণমূলের ঘোষিত প্রার্থী নীলিমা দাসকে।
সীতাহাটি পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনের মধ্যে ১২টি তৃণমূল ও একটি সিপিএমের দখলে রয়েছে। ২০১১ সালে পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান বিকাশবাবুর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন আতাউর রহমান-সহ দলীয় সদস্যেরা। বিকাশবাবু পদচ্যূত হওয়ার পরে প্রধান নির্বাচিত হন আতাউর। সম্প্রতি আতাউরের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন বিকাশবাবু-সহ তৃণমূলের অন্য সদস্যেরা। পদ থেকে অপসারিত হন তিনি। মঙ্গলবার ছিল নতুন প্রধান নির্বাচন।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, দলের স্থানীয় নেতা শ্যামল মুখোপাধ্যায়ের ‘নির্দেশে’ পঞ্চায়েতের ন’জন সদস্য আতাউরের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের কথায়, “দলের গোপন বৈঠকে বিকাশবাবুই প্রধান হিসেবে নীলিমাদেবীর নাম প্রস্তাব করেন। শ্যামলবাবু সমর্থন করেন। কিন্তু প্রধান নির্বাচনের সভায় আতাউর উঠে দাঁড়িয়ে বিকাশবাবুর নাম প্রস্তাব করেন। ৮-৪ ভোটে জেতেন বিকাশবাবু।” ভোটদানে বিরত থাকেন সিপিএম সদস্য সঞ্জয় ভট্টাচার্য। বিকাশবাবু বলেন, “প্রধান নির্বাচন নিয়ে আমি কিছু বলব না। যা বলার শ্যামলবাবু বলবেন।” প্রাক্তন প্রধান আতাউর রহমানের দাবি, “যে ভাবে শ্যামলবাবু আমাকে পদচ্যূত করেছিলেন, সেই অস্ত্রেই আমি নীলিমাদেবীকে পরাজিত করলাম।” শ্যামলবাবুর বক্তব্য, “ওঁরা দু’জন এক হয়ে দলের ঘোষিত প্রার্থীকে হারিয়ে দেবেন, প্রথমে বুঝিনি। যখন বুঝলাম, তখন দেরি হয়ে গিয়েছে।” আর এক তৃণমূল নেতা দেবাশিস মণ্ডলের মন্তব্য, “বিকাশ ও আতাউর, দু’জনকে প্রধান পদ থেকে সরানোর পিছনে শ্যামলবাবুর ভূমিকা ছিল। শত্রুর শত্রু মিত্র, এই নীতিতে এক হয়ে তাঁরা নীলিমাদেবীকে হারালেন।”
|
তৃণমূলের নামে নালিশ সিটু-র |
বামপন্থী শ্রমিকদের উপরে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল, এমনই অভিযোগ তুলল সিটু অনুমোদিত বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়ান সমন্বয় কমিটি। এসডিপিএ বর্ধমান দক্ষিনের সঙ্গে বুধবার দেখা করে তাঁরা জানান, বর্ধমান শহর ও লাগোয়া এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে। সিটু নেতা তড়িৎকুমার ঘোষ জানান, এমন বেশ কয়েকটি ঘটনার তালিকাও তাঁরা এসডিপিওর হাতে তুলে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, এই এলাকায় সিটু ও অন্যান্য বামপন্থী কর্মীদের অনবরত হুমকি, ভয় দেখানো ও আক্রমন চলছে। তাঁদের নামে মিথ্যা মামলাও করা হচ্ছে। কিন্তু তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তবে এসডিপিও অম্লানকুসুম ঘোষ তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন ঘটনাগুলি খতিয়ে দেখা হবে। আইএনটিটিইউসি নেতা চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ক্রমাগত জনসমর্থন হারানো সিটু নানারকম মিথ্যা অভিযোগ করে প্রশাসনের নজর টানার চেষ্টা করছে। প্রশাসন তদন্তে নামলেই প্রমানিত হবে সিটুর অভিযোগগুলি কতটা অসাড়।”
|
এলাকা উন্নয়নে টাকা পর্ষদের |
কাঁকসা, আউশগ্রাম ইত্যাদি জায়গার উন্নয়নের জন্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। কাঁকসা ও আউশগ্রামে সেচ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ৪ কোটি, আউশগ্রামের পানীয় জল সরবরাহের জন্য ৭০ লক্ষ ও পান্ডবেশ্বরের জন্য ১.২ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে জেলশাসক ওঙ্কার সিংহ মিনা জানান।
|
একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে আহত হয়েছেন কয়েকজন যাত্রী। বুধবার নানুর থেকে ফেরার পথে ভাতারের নতুনগ্রামের কাছে ঘটনাটি ঘটে। এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “একজন যাত্রীকে ভাতার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। চালক ও খালাসি পলাতক।” |