দক্ষিণ দিনাজপুরের ঐতিহ্যশালী ভবনগুলির অন্যতম মুন্সেফ কোর্ট। ১৮৮৬-তে বালুরঘাটে দেওয়ানি আদালত স্থাপিত হয়। এর পর ফুলবাড়ি থেকে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস এবং পাতিরাম থেকে পুলিশ থানা বালুরঘাটে স্থানান্তরিত করা হয়। তার আরও পরে ১৯০৪ সালে বালুরঘাট তৎকালীন দিনাজপুর জেলার অন্যতম মহকুমা শহরে উন্নীত হয়। স্বাধীনতার আগে প্রথম দিকে বালুরঘাটে অবস্থিত আদালত পূর্ব-পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের রাজসাহী জেলার অধীন ছিল। পরবর্তীতে বালুরঘাট আদালত পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়। স্বাধীনতা-উত্তর কালে চারটি জেলা, পশ্চিম দিনাজপুর সহ দার্জিলিং, মালদহ এবং জলপাইগুড়ি আদালত জলপাইগুড়ি বিচার বিভাগের আওতায় আসে। ১৯৫৬-তে বালুরঘাট আদালত মালদহ জেলা জজের অধীনে আসে। |
১৯৮৩-তে পশ্চিম দিনাজপুর জেলা জজের আওতায় আসে। ১৯৯২-তে পশ্চিম দিনাজপুর জেলা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর রূপে আত্মপ্রকাশ করে। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট আদালত ভবনটি ইংরেজি ১৮৯০-এ প্রতিষ্ঠিত হয়। দিনাজপুরের বিপ্লবী আন্দোলনের স্বাক্ষর আজও মুন্সেফ কোর্ট বহন করে নিয়ে চলেছে। অগস্ট আন্দোলনে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা বালুরঘাট আাদালত ভবনে ব্রিটিশ পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করে। আদালতে অগ্নিসংযোগ করার ফলে দিনাজপুরের নানা নথি পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। মন্মথ রায় থেকে শুরু করে বহু বিশিষ্ট আইনজীবীরা এই আদালত থেকে কর্মজীবন শুরু করেন। বিখ্যাত সেই মুন্সেফ কোর্ট আজ অবহেলিত ও জঞ্জালে পূর্ণ। বট-পাকুড়ের জঙ্গল ভবনটিকে দুর্বল করে ফেলেছে। জেলাবাসীর দাবি, ঐতিহ্যপূর্ণ ভবনটিকে ‘প্রাচীন ঐতিহ্য’-এর মর্যাদা দেওয়া হোক।
|
ডাকবাক্সগুলো সব গেল কোথায়? শহরের জনবহুল এলাকায় বা কোনও বাড়ির দেওয়ালে বা গাছের গায়ে এক সময় ওরা ঝুলে থাকত। জানান দিত নিজেদের অস্তিত্ব। লাল রঙের একটা চোঙ, গায়ে লেখা লেটার বক্স। কখন তা খোলা হবে সে সময়টাও কালো রঙের টিনের প্লেটে লেখা থাকতো চোঙের নীচের দিকে। ওপর দিকে থাকতো চিঠি ফেলার জন্য সরু একটা ফাঁক। পরে চেহারাটা কিছু পাল্টায়। সিমেন্টের স্ট্যান্ডের ওপর সরু একটা বাক্স, তাড়াতাড়ি চিঠি পৌঁছে যাবার জন্য পিনকোড লেখার কথাও মনে করানো থাকত তাতে। ইন্টারনেটের দুনিয়ায় ওদের অস্তিত্ব ক্রমশ বিপন্ন হতে হতে আজ প্রায় শূন্যে এসে পৌঁছেছে। মানুষের সুখ-দুঃখের কথা বা কাজের কথা আজ কিছুই পৌঁছয় না ওদের কাছে। সম্প্রতি দার্জিলিং শহরের বড় পোস্ট অফিসের সামনে এবং উইন্ডমেয়ার হোটেলের সামনে দেখা গেল ব্রিটিশ আমলের দুটি লেটার বক্স। বিষণ্ণ, নিঃস্ব, নিঃসহায়। |
সম্প্রতি কবি কাজি নজরুল ইসলামের জন্মদিন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল মিলনপল্লি উচ্চবিদ্যালয়, ইসলামপুর। প্রতিকৃতিতে মাল্যদানের সঙ্গে সঙ্গেই পরিবেশিত হয় নজরুলগীতি। ছাত্রীদের একক ও সমবেত নৃত্য এবং বিভিন্ন আঙ্গিকের নজরুলের কবিতা আবৃত্তি ছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সমবেত গান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে নাচ-গান ছাড়াও নজরুলের অনন্য প্রতিভা ও সৃষ্টি সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়।
|
বাবা দিনমজুর। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। থাকে টিনের ছাপরা ঘরে। গৃহশিক্ষকের কাছে পড়ার সঙ্গতি নেই বললেই চলে। তবুও বহু কষ্টে বাড়িতে এক শিক্ষকের কাছে অঙ্ক করেছিল সে। ছেলেটির নাম আবদুল জলিল সরকার। বাড়ি হলদিবাড়ি ব্লকের একটি গ্রামে। এই ছাত্রটি এ বার উচ্চমাধ্যমিকে ৪১১ পেয়ে হলদিবাড়ি হাইস্কুল থেকে কলা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। মাধ্যমিকে পায় ৬১৭। ভবিষ্যতে আদর্শ শিক্ষক হয়ে সে পূরণ করতে চায় বাবা-মায়ের স্বপ্ন। সাহায্য করতে চায় দরিদ্র পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের। গ্রামের মানুষের কথায়, গৃহশিক্ষকের সাহায্য পেলে আরও ভাল ফল করতে পারত। বহু লিটিল ম্যাগাজিনে তার কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। বেশ কিছু দৈনিকে সমাজের বহু সমস্যার কথা নিয়ে লেখা তার চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। এ ভাবে সে, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সমস্যা সমাধান করতে চেষ্টা করেছে।
|
লোকসংস্কৃতি, বাউল বাংলার নিজস্ব সম্পদ। প্রতি বছর লোক সংস্কৃতির আলোয় আলোকিত এক সম্প্রীতির মিলন মেলা বসে রায়গঞ্জের দেশবন্ধু পাড়ায়। বাউল, ভাওয়াইয়ার সুরের মূর্চ্ছনায় মুখরিত হয়ে ওঠে উৎসব প্রাঙ্গণ। রবীন্দ্রনাথ আর লালনের সম্প্রীতির ভাবনাকে সামনে রেখে প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই লোক-উৎসব।
|
এ বিভাগে ছবি ও লেখা দিলে পুরো নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করবেন।
উত্তরের কড়চা
এবিপি প্রাঃ লিমিটেড,
১৩৬/৮৯ চার্চ রোড
শিলিগুড়ি ৭৩৪৪০১ |
|