ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসের এক দিন আগে মোহন-ইস্টবেঙ্গলের ভেদাভেদ মুছে দিলেন আমেদ খান। শৈলেন মান্নার বাড়িতে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে এলেন ইস্টবেঙ্গলের সর্বকালের সেরা ফুটবলার। আমেদ বললেন, “মাঠের মধ্যে আমরা শত্রু ছিলাম। গোল করতে উঠলে, কখনও উনি আমাকে আটকাতেন। কখনও আবার ওঁকে কাটিয়েই গোল করেছি। কিন্তু মাঠের বাইরে আমরা খুব ভাল বন্ধু ছিলাম। আমাদের মধ্যে সব বিষয়েই কথাবার্তা হত।” তাঁকে দেখে শৈলেন মান্নার স্ত্রী আভাও অভিভূত।
রবিবার মোহনবাগানের অনুষ্ঠানে প্রাক্তনদের সবাইকে ডাকা হয়নি বলে তীব্র বিতর্ক হয়েছে। ইস্টবেঙ্গল কিন্তু তুলসীদাস বলরাম থেকে শুরু করে সব প্রাক্তনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বুধবারের অনুষ্ঠানে। চিঠি পাঠানো হয়েছে সুব্রত ভট্টাচার্যকেও। ক্লাবের অন্যতম প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার বলে রাখলেন, “যদি কারও নাম বাদ পড়ে, তা নেহাৎ ভুল।” মোহনবাগান থেকে কেউ যাবেন? ‘কেউ একজন’ যাবেন বলে জানালেন মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র।
তার আগে অবশ্য সম্প্রীতির সুর বেঁধে দিলেন আমেদ নিজে। |
শৈলেন মান্নার স্ত্রীর সঙ্গে আমেদ খান। -নিজস্ব চিত্র |
শৈলেন মান্নার সল্টলেকের বাড়িতে তাঁর ছবির সামনে দাঁড়িয়ে কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন আমেদ। বলছিলেন, “আমরা এক সঙ্গে ’৪৮ লন্ডন অলিম্পিকে খেলেছিলাম। ফুটবলার হিসেবে তো বটেই, মানুষ হিসেবেও কোনও তুলনা নেই মান্নাদার। আমরা আলাদা আলাদা ক্লাবে খেলতাম ঠিকই। কিন্তু দরকার-অদরকারে যখনই ডেকেছি, সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছে আমার। ইস্টবেঙ্গল আমাকে এত বড় সম্মান দিচ্ছে। আজকে মান্নাদা পাশে থাকলে আরও ভাল লাগত।”
এ দিকে, বুধবার সব ফুটবলারকে ছুটি দেওয়া হলেও, দেরিতে আসা চিডি এবং ওপারাকে অনুশীলনে ডেকেছেন মর্গ্যান। দু’জনেরই ফিটনেস নিয়ে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
প্রয়াগে আমেরিকান কিপার কোচ: সুব্রত পাল জার্মানির ক্লাবে প্র্যাক্টিস করছেন। তাঁর অপেক্ষায় প্রয়াগ ইউনাইটেডের নতুন গোলকিপার কোচ, আমেরিকান পার হেনরিকসন। মঙ্গলবার সাইতে প্রথম প্র্যাক্টিসের ফাঁকে তিনি বলছিলেন, “সুব্রতকে সামনা সামনি কখনও দেখিনি। ভারতে এসে ওর সম্পর্কে অনেক কিছু শুনেছি। তার পর ইন্টারনেটে ওর কিছু ভিডিও দেখেছি। ভাল গোলকিপার হতে গেলে নড়া-চড়া ভাল হতে হয়। ও আসলে দেখব, সেটা ও কত ভাল করতে পারে।” হেনরিকসন পাকিস্তানে খেলেছেন। কোচিং করাতেন ভুটানে। |