দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরিতে ৭ ঘণ্টা আটকে চালক ও খালাসি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরির মধ্যেই দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা আটকে থাকলেন চালক ও খালাসি। তবে আঘাত গুরুতর না হওয়ায় দু’জনই বেঁচে গিয়েছেন। সোমবার রাত ১২টা নাগাদ ডেবরার ধামতোড়ে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় পড়ে লরিটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খেতে গিয়ে পড়ে। মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ চালক ও খালাসিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। দমকলের খড়্গপুর বিভাগের ওসি রবীন্দ্রনাথ সর্দার বলেন, “লরিতে লোহার রড বোঝাই ছিল। তাই উদ্ধারকাজে বেশি সময় লেগেছে। পুরো কাজটাই সাবধানে করতে হয়েছে।”
হাওড়ার দিক থেকে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে খড়্গপুরের দিকে আসছিল লোহার রড-বোঝাই ১০ চাকার লরিটি। চালক আব্দুল রফিকের বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশে ও খালাসি ললিত কুমারের বাড়ি ছত্তীসগঢ়ে। ধামতোড়ের কাছে এসে আচমকাই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খেতে উল্টে যায়। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে চালক ও খালাসিকে কিছুতেই লরির ভিতর থেকে বের করা যাচ্ছিল না। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে আসেন দমকলকর্মীরা। রাতের অন্ধাকারে উদ্ধারকাজেও সমস্যা হয়। শেষমেশ গ্যাস-কাটার এনে লরির একটি অংশ কাটা হয়। এক পুলিশকর্মী বলেন, “পুরো কাজটাই সাবধানে করতে হয়েছে। একটু অসতর্ক হলেই বিপদের আশঙ্কা ছিল।” |
|
হাসপাতালে আহতেরা। —নিজস্ব চিত্র। |
মঙ্গলবার সকাল ৭টা নাগাদ লরির মধ্যে থেকে চালক ও খালাসিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দু’জনেই চিকিৎসাধীন। ডেবরা থানার ওসি কৃষ্ণেন্দু হোতা বলেন, “ঠিক কী জন্য এই দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” জানা গিয়েছে, শুরুতে স্থানীয়রাই লরির মধ্যে থেকে চালক ও খালাসিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তবে তা সম্ভব হয়নি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল। |
|