খিচুড়ি-র বদলে ভাত, ডাল, সব্জি রান্না করতে হবে। পরিকাঠামোর ব্যবস্থা না করেই জেলার বিভিন্ন ব্লকের মতো রাজনগর ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে রাতারাতি এই নির্দেশিকায় সমস্যায় পড়েছেন ওই কেন্দ্রগুলির দায়িত্বে থাকা কর্মী ও সহায়িকারা। সেই সমস্যা মেটানোর দাবিতে মঙ্গলবার সকালে রাজনগর ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করার পাশাপাশি স্মারকলিপি দিলেন শ’দুয়েক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী-সহায়িকা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজনগর ব্লকের ১২৫টি অঙ্গনওয়াড়ির কেন্দ্রে ২৬৪ জন কর্মী-সহায়িকা রয়েছেন। অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী কবিতা রায় সেন, সন্ধ্যা রায় এবং কল্যাণী মণ্ডলরা বলেন, “আজ, বুধবার থেকে থেকেই কেন্দ্রগুলিতে শিশু (০-৬ বছর বয়সী), গর্ভবতী ও প্রসূতিদের জন্য (বরাদ্দ সুষম আহার) খিচুড়ির পরিবর্তে ভাত, ডাল ও সব্জি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে--যেমন আনুষঙ্গিক বাসনপত্র দেওয়া হয়নি। অনেক বেশি জ্বালানি প্রয়োজন। সোটাও বরাদ্দ হয়নি। তা ছাড়া, অপুষ্ট শিশু, গর্ভবতী ও প্রসূতিদের জন্য যে পরিমান চাল, ডাল, সব্জি বরাদ্দ রয়েছে সেগুলি আলাদাভাবে রান্না করলে পরিমানে এতটাই কম মনে হবে, হেনস্থা হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।” সিডিপিও মহম্মদ সফিউল্লা বলেন, “বাসন ও জ্বালানীর ক্ষেত্রে যে দাবির কথা বলছেন সেটা সঙ্গত এবং এই সমস্যা শুধু এই ব্লকের নয় বিভিন্ন ব্লকের সমস্যা। নির্দেশ কার্যকর করার আগে জেলায় আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সরকার নির্ধারিত চাল, ডাল, সব্জি নিয়ে যে সমস্যার আশঙ্কা কর্মী-সহায়িকারা করছেন সেটা অমুলক।” |