রিকশা ভাড়ার তালিকা তৈরি করেই দায় সেরেছেন পুর কর্তৃপক্ষ। রিকশা চালকেরা তা মানছেন কি না সেদিকে তাঁদের হুঁশ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। তার ফল পদে পদে ভুগতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। পুরসভার কর্মী আধিকারিকদের একাংশ যাঁরা রিকশায় যাতায়াত করেন তাঁরাও পুর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অভিযোগ, শহরের অধিকাংশ রিকশা চালক পুরসভার ভাড়ার তালিকা মানছেন না। পুর এলাকায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত ন্যুনতম ভাড়া যেখানে ৫ টাকা, রিকশায় উঠলেই চালকদের অধিকাংশ সেখানে ১০ টাকা দাবি করছেন। ১ কিলোমিটারের বেশি গেলেই ১৫ টাকা ২০ টাকা দাবি করা হচ্ছে। রাত হলে বা বৃষ্টির দিন হলে চালকদের সেই চাহিদা মাত্রা ছাড়ায় বলে অভিযোগ। তখন যাত্রী বুঝে এর দ্বিগুন, তিনগুন ভাড়া দাবি করেন তাঁরা। যা নিয়ে সওারির সঙ্গে চালরদের ঝামেলা লেগেই রয়েছে। ১ কিমি পর্যন্ত ন্যুনতম ৫ টাকা ভাড়া। এর পর প্রতি কিলোমিটারের জন্য ৪ টাকা হিসাবে ভাড়া বৃদ্ধি পাবে। প্রতিঘন্টার জন্য ভাড়া ২৫ টাকা। এলাকা ভিত্তিতে জায়গা থেকে কোথাও গেলে ভাড়া কত হতে পারে তালিকায় তা দেওয়া রয়েছে। নিয়ম মতো ভাড়ার তালিকচালকদের সঙ্গে রাখার কথা থাকলেও প্রায় কেউই তা রাখছেন না বা সওয়ারিরা চাইলে দেখাচ্ছেন না। সমস্যার জন্য পুর কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বৃহত্তর শিলিগুড়ি সাইকেল রিকশা ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের তরফে বিষয়টি দেখা হয়। ওই বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহা বলেন, “রিকশা ভাড়া নিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে চালকের সমস্যার কথা বিক্ষিপ্ত ভাবে কিছু কানে আসে। তবে কেউ পুরসভায় এ ব্যাপারে অভিযোগ জানাননি। তাতে অভিযুক্ত রিকশা চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সমস্যা হচ্ছে। সমস্যা হলে বাসিন্দাদের অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করব।” রিকশা ভাড়া নিয়ে সমস্যার জন্য কী ভাবে, কোথায় অভিযোগ জানাতে পারবেন বাসিন্দারা? পুরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রেই জানানো হয়েছে, যে রিকশা চালক বেশি ভাড়া চাইছেন, বা ভাড়ার তালিকা দেখাচ্ছেন না তাঁর রিকশার নম্বর দিয়ে কোথায়, কখন ঘটনা ঘটেছিল সে ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পুরসভায় জমা করতে পারবেন বাসিন্দারা। ঘটনার পর যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি অভিযোগ জানালে ভাল হয়। পুরসভার ই-মেল smcwb@hotmail.com -এ অভিযোগ জানাতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে চালকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করা হবে। একই রিকশার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ পেলে প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল করা হবে। |