ফের অঘটন এবং বিদায়।
বিশ্বকাপ এবং ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনের অলিম্পিক ফুটবল অভিযান বোঝাতে হলে বোধহয় এটুকুই যথেষ্ট। জাপান এবং হন্ডুরাসের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের কাছে দু’টো ম্যাচেই ০-১ হেরে ইওর্দি আলবা-হুয়ান মাতারা ছিটকে গেলেন অলিম্পিকের গ্রুপ পর্যায় থেকেই! ব্রাজিল, উরুগুয়ের সঙ্গে স্পেনকেও সোনা জয়ের দাবিদার ধরা হচ্ছিল।
সাত মিনিটেই স্ট্রাইকার জেরি বেংস্টনের গোলে এগিয়ে যায় হন্ডুরাস। পরের তিরাশি মিনিটেও স্পেন আর সমতা আনতে পারেনি। বরং হন্ডুরাস ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। প্রথমার্ধেই নিজের দ্বিতীয় গোলটাও প্রায় করে ফেলেছিলেন বেংস্টন। স্পেন ফেরার সুযোগ পায় বিরতির ঠিক আগে। মাতার শট পোস্টে লেগে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়িয়েছিল স্পেন। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টে ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টির দাবি নিয়ে রেফারির সঙ্গে উত্তেজিত কথাবার্তায় জড়িয়ে পড়েন স্প্যানিশ ফুটবলররা। রেফারিকে ঘেরাও করা হয়। ম্যাচে ১৩টা কার্ড বার করতে হয় রেফারিকে।
স্পেনের সামনে বিরাট সুযোগ ছিল একসঙ্গে বিশ্বকাপ, ইউরো এবং অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফুটবলের ইতিহাসে সর্বকালীন রেকর্ড সৃষ্টি করার। হতাশ স্পেন অলিম্পিক কোচ লুইস মিল্লা বলেছেন, “সব হল, শুধু গোলটাই আমরা পেলাম না। তবে পেনাল্টিটা পাওয়া উচিত ছিল।” রবিবার রাতের সেন্ট জেমস পার্ক ‘গোলিয়াথ’ স্পেনের পতনের পাশাপাশি ‘ডেভিড’ হন্ডুরাসের উত্থানও দেখে রাখল। গ্রুপে হন্ডুরাস এখন দু’নম্বরে। উপর্যুপরি দু’টো ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়া জাপানের ঠিক পরেই।
স্পেন ছিটকে যাওয়ায় ফুটবলের আকর্ষণ কমল হয়তো। কিন্তু ব্রিটিশ সমর্থকদের উৎসবের কারণ থাকছে। রবিবার আমিরশাহিকে ৩-১ উড়িয়ে ১৯৬০-এর পর অলিম্পিক ফুটবলে প্রথম জয় পেল ব্রিটেন। অলিম্পিকের ইতিহাসে বেশি বয়সে গোল করার রেকর্ড করে ফেললেন অধিনায়ক রায়ান গিগস। ৩৮ বছরের গিগস প্রথম গোল করেন।
|