আড়াই মাসেরও বেশি সময় নিখোঁজ ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিলেন। ঠাঁই হয়েছিল হোমে। গোড়ায় নিজের ঠিকানাও বলতে পারেননি। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর দিন কয়েক আগে বাড়ির ঠিকানা জানিয়েছিলেন। তারপরই পুলিশের তরফে নিখোঁজ অপর্ণা মুর্দ্যনের শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। সোমবার অপর্ণাকে বাড়ি নিয়ে গেলেন দাদা অভিজিৎ খাওয়াল। |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি থানা এলাকার যাত্রা গ্রামের বাসিন্দা অপর্ণার সঙ্গে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানা এলাকার ধানঘোরি গ্রামের জয়ন্ত মুর্দ্যনের বিয়ে হয় কয়েকবছর আগে। তাঁদের একটি সন্তানও রয়েছে। জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরেই জয়ন্তর সঙ্গে তাঁর দাদা অচিন্ত্যর জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। দুই ভাইয়ে মারামারিও হয়। তখনই মাথায় চোট পান অপর্ণাদেবী। ভারসাম্য হারান। বেরিয়ে পড়েন শ্বশুরবাড়ি থেকে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকেন।
গত ১০ মে মেদিনীপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পড়ে থাকতে দেখা যায় অপর্ণাকে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। তারপর থেকে ভগবতীদেবী মহিলা সমিতি নামে একটি হোমে ছিলেন অপর্ণা। হোমের সম্পাদক অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই মহিলা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন। কোনও কথা-ই বলতে পারছিলেন না। ধীরে ধীরে কিছুটা সুস্থ হওয়ায় ঠিকানা বলতে পেরেছেন।” তারপরই অপর্ণার শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। যদিও শ্বশুরবাড়ি থেকে কেউ তাঁকে নিতে আসেননি। দাদা অভিজিৎ সোমবার মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানায় আসেন। নিয়ে যান বোনকে। |