নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতা লিগ পিছোতে পিছোতে এখন শুরু হয় এত দেরিতে, যে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না আমেদ খানের। সোমবার সন্ধ্যায় ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে ঢুকে তিনি হতাশ, লিগ শুরু হয়নি শুনে। জানান, ক্লাবের খেলা দেখার ইচ্ছা ছিল।
দু’দিন পর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে আমেদ খানের হাতে ‘ভারতগৌরব’ সম্মান তুলে দেবেন রাজ্যপাল। অর্জুন বা পদ্মশ্রীর মতো সম্মান তিনি পাননি। বলছিলেন, “যা পাইনি তা নিয়ে ভেবে লাভ কী? আমি খুশি ইস্টবেঙ্গল আমাকে সম্মান জানাচ্ছে বলে।” কানে ভাল শুনতে পান না। ছেলে মজিদ খান সাহায্য করছিলেন কথা বলার সময়। হাঁটার সময়েও লাঠি হাতে ঠিক স্বচ্ছন্দ নন ৮৪ বছরের আমেদ খান। সচিবের ঘরে ঢুকেই কর্মকর্তাদের কাছে খোঁজ নিতে শুরু করলেন তাঁর সময়ের ফুটবলারদের। যাঁদের মধ্যে ছিলেন অমল দত্ত, পল্টু রায়-ও। জোরের সঙ্গে বললেন, “ভেঙ্কটেশ, আপ্পারাও, সালে, ধনরাজের মতো ফরোয়ার্ড লাইন আর হবে না।” |
ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে আমেদ খানের ছবি তুলেছেন শঙ্কর নাগ দাস। |
ইদানীং জাতীয় দলের খেলা সে ভাবে দেখা হয় না। তবে বিদেশি কোচের ব্যাপারে তাঁর মত মেলে না অনেক প্রাক্তনের সঙ্গে। বলছিলেন, “এখনকার ছেলেরা ভালই চেষ্টা করে। ভাল বিদেশি কোচ থাকলে উন্নতিই হবে।” সোমবার তাঁবুতে এলেন আর এক প্রাক্তন ইলিয়াশ পাশাও। তিনিও খুশি, তাঁকে ক্লাবের সম্মান জানানোর সিদ্ধান্তে। এ দিন প্র্যাক্টিস ম্যাচে কালীঘাট মিলন সঙ্ঘকে পেন ওরজির গোলে ১-০ হারালেন মেহতাব-অ্যালভিটোরা। এ দিকে দিল্লিতে ফিফার টিডি-সহ একদল কর্তা এসেছিলেন রাজ্য ফুটবল সংস্থাগুলির নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে। সেখানে বাংলা, গোয়া-সহ ছয়টি রাজ্যকে ডাকা হয়। ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন তাঁরা। |