হাম্বানটোটায় হারের পর ভারত তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত ভাবে ফিরে এল। আবারও প্রমাণ হয়ে গেল দু’টো ভাল দলের মধ্যে যখন খেলা হয়, তখন সেই বিশেষ দিনে যারা ভাল খেলবে তারাই জিতবে। চাপের মুখে এই জয় এল বলে ভারতীয়রা বেশি খুশি হবে। এর জন্য বাকি দু’টো ম্যাচে ওরা বেশি আত্মবিশ্বাসীও হবে। জাহির ওর সেরা ফর্মে ছিল শেষ ম্যাচটায়। ও যত খেলে তত ওর বোলিং খোলে। চিরকাল ম্যাচ খেলে ফিটনেস ধরে রাখার পন্থায় বিশ্বাসী জাহির।
অশোক দিন্দা সুযোগ পেল দেখেও ভাল লাগল। আশা করব ওকে আরও সুযোগ দেওয়া হবে। দিন্দাকে আর একটু ‘ফুল-লেংথ’ বল করতে হবে। উইকেটের মধ্যে বল করার চেষ্টা করতে হবে। যেটা শেষ ম্যাচে করতে পারেনি। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, অনেক দিন পর দিন্দা ম্যাচ পেল। সুযোগ পেলে ও দ্রুত উন্নতি করবে। ভারতীয়দের মনে রাখতে হবে শেষ ম্যাচটা দারুণ জিতলেও সামনে নতুন দিন, নতুন ম্যাচ। এ বার ‘নক-আউট পাঞ্চ’-এর সময়।
২৮৬ তাড়া করার কাজটা সহজ ছিল না। কিন্তু গম্ভীরের পরিণত সেঞ্চুরি এবং উপমহাদেশের মাঠে রায়নার ব্যাটিং বিক্রমে সেটা সম্ভব হল। দু’টো টিমের কাছেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল তৃতীয় ম্যাচটা জেতা। পাঁচ-ম্যাচের সিরিজে এখন শ্রীলঙ্কাই বেশি চাপে থাকবে। ওদের পক্ষে কাজটা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে সঙ্গকারার আঙুলের চোটের জন্য। গত দু’মাস ধরে সঙ্গকারা দুর্দান্ত ফর্মে আছে। অশোক দিন্দার জন্য দিনটা খুব ভাল যায়নি হয়তো কিন্তু সঙ্গকারাকে আহত করে ওকে সিরিজের বাইরে করে দিতে পারল। যদিও আমি মনে করি, একটা টিম যদি ভাল হয় তা হলে একটা প্লেয়ারের অনুপস্থিতিতে খুব ফারাক হওয়া উচিত নয়। শ্রীলঙ্কা এখন চাইবে দিলশান বা থরাঙ্গা যেন আরও বেশি দায়িত্ব নিয়ে খেলে আর সঙ্গকারার অভাবটা ঢেকে দিতে পারে। তরুণ প্লেয়ারদের সামনেও এটা একটা ভাল সুযোগ হিসেবে দেখা দিতে পারে।
এটা দেখেও অবাক হলাম যে, জয়বর্ধনে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে দিলশানকে দিয়ে বোলিং করাল না! মালিঙ্গাকে বাঁ হাতি ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর করে তোলা যায় কী করে সেটা নিয়েও মাহেলাকে ভাবতে হবে। মালিঙ্গা খুব বেশি জায়গা দিয়ে ফেলছে। |