জলপাইগুড়ি শহরের গদাধর খালে সোমবার বিকাল থেকে একসঙ্গে বহু মৃত মাছ ভেসে ওঠার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গত বছর ২৮ নভেম্বর শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া করলা নদীতে প্রচুর মাছের মড়কের ঘটনার পরে এদিন ফের শহরের একটি খালে যার সঙ্গে পাঙ্গা সহ কয়েকটি ছোট নদীর যোগাযোগ রয়েছে, সেখানে একসঙ্গে অনেক মৃত মাছ ভেসে ওঠার ঘটনায় শহর জুড়েই আলোড়ন পড়ে যায়। করলা নদীতে যেমন বড় আকারের প্রচুর সংখ্যক বোয়াল, আমেরিকান রুইয়ের মত বড় মাছের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। গদাধর খালে অবশ্য তেমন বড় মাছের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। পুঁটি, চ্যাং, ট্যাংরা, গুচি, পয়া, টাকির মতো রাশি রাশি ছোট মৃত মাছ জলে ভাসতে দেখা গিয়েছে। |
এদিন দুপুর আড়াইটের পর থেকে খালের জলে মৃত মাছ ভাসতে দেখা যায় বলে এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন। ঘটনার পরেই এলাকার একাংশ বাসিন্দারা খালে নেমে মৃত মাছ সংগ্রহ করেন। অভিযোগ, প্রচুর মৃত মাছ পাশের পান্ডাপাড়া বাজারেও বিক্রির জন্য চলে যায়। গত বছর করলা নদীতে মাছের মৃত্যুর কারণের জন্য নদীর জলে ‘এন্ডোসালফান’ নামের একটি নিষিদ্ধ কীটনাশকের বেশি পরিমাণে মিশে যাওয়ার ঘটনাকে দায়ি করা হয়। গদাধর খালে কেন একসঙ্গে মাছের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তা জানতে মৎস দফতর থেকে খালের জল এবং মৃত মাছের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খালের জলে বিষক্রিয়ার কারণেই মাছের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাছ মারার উদ্দেশ্যে বিষ ছড়ানো হয়েছে না কী খালের জলে দূষণের কারনে তা ঘটেছে খতিয়ে দেখছে মৎস দফতর। দফতরের সহকারি অধিকর্তা পার্থপ্রতিম দাস বলেন, “খালের জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কী কারণে মাছের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ঘটনার খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার আইসি কোকিল চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গিয়ে মৃত মাছ সংগ্রহ করা বন্ধ করতে নজরদারি শুরু করেন। পুলিশের তরফেও পৃথক ভাবে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মাছের মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার সুগত সেন। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “প্রশাসনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। কত পরিমাণ মৃত মাছ উদ্ধার করা যায়নি তাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের ওই মৃত মাছ খেতে নিষেধ করা হয়েছে।” |