|
|
|
|
|
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
২২ জুলাই - ২৮ জুলাই |
|
দামাস্কাস/প্যারিস বেজিং ন্যাপিদ’ ইসলামাবাদ ইসলামাবাদ |
|
• সিরিয়া-সংকট চলছেই। চলবেই? একটু যেন আশার আলো দেখালেন সরকারি সামরিক বাহিনীর দলত্যাগী নেতারা। তাঁদের মতে, অস্ত্রশস্ত্র, অর্থসম্পদ, নৈতিক বল ইত্যাদির যা অবস্থা, তাতে সরকার আর মাস-দুয়েকও টিকবে না। প্রেসিডেন্ট আসাদ কী ভাবছেন, জানা নেই। ইতিমধ্যে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পো গণহত্যার আড়ত হয়ে উঠছে। তবে বিশ্ব জুড়ে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে: সিরিয়ার পরিস্থিতি আর বরদাস্ত করা নয়! সম্প্রতি প্রতিবাদ আন্দোলন উত্তাল হয়ে উঠল প্যারিসে, আইফেল টাওয়ার-এর নীচে।
• মায়ানমারে বন্দি বিরোধী নেত্রী সু চি মুক্ত হয়েছেন, নির্বাচনে জিতেছেন, পার্লামেন্টে যোগ দিয়েছেন। এ বার আর একটি মাইলস্টোন: পার্লামেন্টে প্রথম বক্তৃতা। বিষয়, মায়ানমারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা।
• প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গিলানির বিদেশ-সচিব আক্রম শাহিদি-ও ‘প্রাক্তন’ হলেন। তাঁর জায়গা নিলেন সামরিক প্রধান জেনারেল কায়ানির ডান-হাত আসিফ ইয়াসিন মালিক। কায়ানির প্রত্যক্ষ প্রতিনিধি এখন পাক সরকারে।
• পাসপোর্ট আর ভিসা জালিয়াতির ক্ষেত্রে পাকিস্তান দুনিয়ায় এক নম্বর, জানালেন ইসলামাবাদে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অ্যাডাম টমসন। সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন, জালিয়াতি সে দেশে একটা জমজমাট শিল্পে পরিণত। শুধু গত বছরেই চার হাজারেরও বেশি পাক নাগরিক ব্রিটিশ পাসপোর্স বা ভিসা জাল করতে গিয়ে ধরা পড়েছে।
|
• ব্রিটিশ নাগরিক নিল হেউড-কে খুন করেন গু কাইলাই: তার অকাট্য প্রমাণ নাকি পেয়েছে বেজিং। বো জিলাই ও তাঁর স্ত্রী গু-র বিরুদ্ধে জমাটি মামলা তৈরি হচ্ছে জানাই ছিল। কমিউনিস্ট পার্টির উজ্জ্বল তারকা বো-কে বলা হত ‘মাও-এর উত্তরসূরি’। এখন তিনি অপসৃত। গু-র ‘ন্যায়বিচার’ শুরু হচ্ছে। তবে পার্টির রোষে পড়লে চিনের বিচারে ‘ন্যায়’ মেলে তো? |
|
লন্ডন |
এঁর নাম এইডান বার্লে, ব্রিটেনের কনজারভেটিভ পার্টির এম-পি। কিছু দিন আগেই হেডলাইনে উঠে এসেছিল এঁর কথা নাত্সি ‘থিম পার্টি’তে অংশগ্রহণের অপরাধে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের সহকারী গোষ্ঠী থেকে বার্লে-র নাম কাটা যায়। শনিবার আবার হেডলাইনে বার্লে: আগের দিন অলিম্পিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি তাঁর এতই অপছন্দ হয়েছে যে টুইট করেছেন: এমন “মাল্টিকালচারাল ক্র্যাপ”, বহুসংস্কৃতিবাদের নামে এমন জঞ্জাল তিনি জন্মে দেখেননি। (‘স্লামডগ মিলিয়নেয়ার’-খ্যাত) ড্যান বয়েল-এর অনুষ্ঠান নাকি ভয়ঙ্কর “লেফটি”, বামপন্থী সমাজতন্ত্রের রাজধানী বেজিং-এও যা দেখা যায়নি! “এর পর নিশ্চয়ই আর এক রাউন্ড জনকল্যাণ কর্মসূচি?” ১০ ডাউনিং স্ট্রিট শশব্যস্ত। তাদের বার্তা, বার্লের বক্তব্য কিন্তু সরকারি নয়, কনজারভেটিভদের দলীয় বক্তব্যও নয়। |
ওয়াশিংটন |
অরোরা কলোরাডো থেকে ফিরে প্রেসিডেন্ট ওবামা বললেন, ওই শহরে যা ঘটল সম্প্রতি, সেটা তো ভয়ঙ্কর বটেই। কিন্তু আরও ভয়ঙ্কর: আমেরিকায় এর অর্ধেক সংখ্যক মানুষ প্রত্যহ হিংসার বলি হয়ে থাকেন। হেস্তনেস্ত দরকার। হেস্তনেস্তর পথ, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, অর্থাৎ “গান কন্ট্রোল”। রিপাবলিকান, ডেমোক্র্যাট, কমিউনিটি লিডার সকলে একসঙ্গে মোকাবিলা না করলে হবে না। ওবামার সাহস আছে! আর ক’দিন পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, তার মধ্যে “গান কন্ট্রোল”-এর মতো বিতর্কিত বিষয়ে মুখ খোলা? এ দিকে আমেরিকায় যে “গান”পন্থী মানুষ অসংখ্য, রিপাবলিকানদের কাছে বন্দুক-বিরোধিতা যে প্রায় স্বাধীনতা-হীনতার শামিল! |
রিয়াধ |
|
মুসলমান নন, তাই রমজান মাসে খেতে বাধা নেই? সৌদি আরবে আর তা চলবে না। প্রশাসন সোজাসাপটা জানিয়ে দিয়েছে, যে ধর্মেরই হও না কেন, রোজার মাসে জনসমক্ষে খাওয়াদাওয়া, ধূমপান এমনকী জল খাওয়াও চলবে না। মুসলমানরা যে নিয়ম নিষ্ঠাভরে পালন করছেন, তার প্রতি অন্যদের শ্রদ্ধাশীল থাকতেই হবে। নির্দেশ অমান্য করে ধরা পড়লে তৎক্ষণাৎ দেশ থেকে বিদায়, জানিয়ে রেখেছে সরকার। ইসলামি বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র সৌদি আরব, সম্ভবত কট্টরতম দেশও বটে। তবে এই ধরনের অনুশাসন বা আইন কিন্তু কোনও ইসলামি দেশেই এত কাল দেখা যায়নি। |
বেজিং, লন্ডন |
২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিক শেষ হওয়ার পর লন্ডনের মেয়রের হাতে অলিম্পিকের পতাকাটি তুলে দেওয়া হল, আর এক জন চিনা কৃষক, চেন গুয়ানমিং, স্থির করেছিলেন তিনি লন্ডন যাবেন। গরিব মানুষ, ভরসা শুধুমাত্র নিজের সাইকেল রিকশাটাই। রিকশায় প্রায় ৬০,০০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে সত্যিই তিনি লন্ডন পৌঁছলেন। পথে বন্যা, যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, দুর্গম গিরিপথ, সবই অতিক্রম করেছেন। এ বার থেকে রিকশার দিকে একটু সম্ভ্রম নিয়ে তাকাতে হবে মনে হয়! |
শেষ পাত |
অলিম্পিক শুরু হতে না হতেই কেলেঙ্কারি। উত্তর কোরিয়া বনাম কলম্বিয়ার মহিলা দলের ফুটবল খেলা শুরুর আগে ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে-তে দুই দেশের খেলোয়াড়দের দেখানো হচ্ছে, পাশে জাতীয় পতাকা। উত্তর কোরিয়ার খেলোয়াড়দের পাশে, কী সর্বনাশ, দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা! দুই দেশের সম্পর্ক সম্ভবত ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও তিক্ত। ঘোর কমিউনিস্ট উত্তর কোরিয়ার চোখে পুঁজিবাদের পথিক দক্ষিণ কোরিয়া মহাশত্রু। কাজেই, পতাকা-বিভ্রাট চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই দল মাঠ ছেড়ে চলে গেল। ঘণ্টাখানেক পর নতুন ভিডিয়ো তৈরি হল। ফের মাঠে নামলেন খেলোয়াড়রা। |
|
|
|
|
|