সংস্কৃতি যেখানে যেমন

‘স্পোর’
খুব বেশিদিন হয়নি জলপাইগুড়িতে সোসাইটি ফর ওফিওফউনা অ্যান্ড অ্যানিমাল রাইটস (স্পোর) কাজ শুরু করেছে। পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, সাপ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সংস্থা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে সংস্থা যোগাযোগ করেছে জে ডি মাটির্র্নের সঙ্গে। গত ১১ মে স্পোরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল খ্যাত পরিবেশপ্রেমীর সঙ্গে ‘সাপ উদ্ধার’ বিষয়ক এক আলোচনা হয়। এ ছাড়া, ২১ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই সম্পূর্ণ নিজেদের উদ্যোগে ‘লিভিং উইথ স্নেক’ শীর্ষক এক কর্মশালা, নেচার অ্যান্ড অ্যানিমাল শীর্ষক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, ফটোম্যানিয়া শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেন জলপাইগুড়ির ‘প্রয়াস’ হলে।
কর্মশালা পরিচালনা করেন কলকাতা স্নেক পার্কের প্রতিষ্ঠা ও রাজ্য বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ বিভাগের মুখ্য উপদেষ্টা দীপক মিত্র। সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট সর্প বিশেষজ্ঞ সোমনাথ সরকার, শুভ্রজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, শ্রীমতি মেঘনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্থানীয় চিকিৎসক শ্রী মানব ঘোষ। কর্মশালায় সদস্যদের হাতে হাতে ঘুরে বেড়ায় গোখরো, কেউটে, শঙ্খিনী, এমনকী, রাসেল ভাইপারও। সংস্থার সদস্যদের আরও শিক্ষিত করে তোলার লক্ষ্যে সম্পাদক শ্যামাপ্রসাদ পান্ডেকে দীপকবাবু তাঁর ডুয়ার্স স্নেক সার্ভে প্রকল্পে সঙ্গে নেন। কর্মশালার সেরা সাগরিকা ভট্ট, তীর্থপ্রসাদ রায় ও প্রোজ্জ্বল রায় পান ‘সর্পমিত্র’ পুরস্কার। আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, দেশের নানা প্রান্ত ও কেনিয়া, বাংলাদেশ, ও ভুটান থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। ৮৬৭টি ছবি জমা পড়ে। বাছাই ২০৭টি ছবি প্রদর্শিত হয়। বিচারক ছিলেন তাপস দাস, বন পত্রিকার সম্পাদক সৌরভ বসু এবং সুব্রত দাস। পুরস্কৃত হন অমলেন্দু সামন্ত, শুভাশিস ঘোষ, দোলা দাস, রামনাথ রায়, প্রীতম সামন্ত ও সাগ্নিক মল্লিকের ছবি। ‘ফোটোম্যানিয়া’ বিভাগে প্রদর্শিত হয় আমন্ত্রিত ছবির। ইন্ডিয়ান ভিস্যুয়াল আর্টস ফাউন্ডেশনের সদস্যরা সেখানে ছবি পাঠিয়েছেন। সৌরভ বসু, তাপস দাস, সুমিতা ঘটক, আবির বাগচী, বিমল দেবনাথ, সুবীর দাস, জয়ন্ত দাস, বিশ্বপ্রিয় রাউতের ছবি প্রদর্শিত হয়। পাশাপাশি, আয়োজকদের বিভাগে শ্যামাপ্রসাদ পান্ডে, অনিকেত মোদক, রতন ঝা, ময়ূখ ঘোষ, শান্তনব মজুমদার সহ অনেকের ছবি প্রদর্শিত হয়েছে।

সমাপ্তি অনুষ্ঠান
২১ জুলাই শেষ হল ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের দার্জিলিং জেলা কমিটির উদ্যোগে দেবব্রত বিশ্বাস, জ্যেতিরিন্দ্রনাথ মৈত্র, হেমাঙ্গ বিশ্বাস, নিবারণ পণ্ডিত ও সুধী প্রধান জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠান। হারানো সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য ২৫ মে থেকে ৩ মাস বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে ওই অনুষ্ঠান চলে। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য সংস্কৃতিপ্রেমীদের নিয়ে ১২ মে জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য এবং আহ্বায়ক পল্লবকান্তি রাজগুরু। পল্লববাবু জানান, শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা ছাড়াও পাঁচ ব্যক্তিত্বকে নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয় দীনবন্ধু মঞ্চে। সঙ্গীত পরিবেশন করে শুভেন্দু মাইতি ও তাপসী রায় চৌধুরী।

শ্যামল রায় স্মরণ
প্রয়াত লোকশিল্পী শ্যামল রায়ের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হল গত মঙ্গলবার ময়নাগুড়ি বাস টার্মিনাস চত্বরে। লোকশিল্পীদের উদ্যোগে লোক সংস্কৃতিতে শ্যামলবাবুর অবদানের কথা তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণ করেন লোকশিল্পী অঞ্জলি রায় ডাকুয়া, কামেশ্বর রায়, কালীপদ সরকার। আয়োজকরা শিল্পীর পরিবারের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন।

আলোচনায় দুই কবি
পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি হকার্স কর্নারে অনুষ্ঠিত হল দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জন্ম সার্ধশতবর্ষ এবং রজনীকান্ত সেনের জন্মদিন। এ দিনের অনুষ্ঠানে দুই কবিকে নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সঞ্জীবন দত্ত রায় ও নন্দদুলাল দেবনাথ।

তথ্য সহায়তা: মৌসুমী মজুমদার



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.