ম্যাচ জিতিয়েও যে তাঁর মতো মহাতারকাকে এমন সমালোচনার মুখে পড়তে হবে কে জানত?
মিশরের বিরুদ্ধে জয় এসেছে। ৩-২ গোলে কষ্টের জয়, তবু জিতেছে ব্রাজিল। তিনি গোলও করেছেন। কিন্তু তাতে কী? মিশর কোচ হ্যানি র্যাঞ্জি সাফ বলে দিয়েছেন, নেইমার বড় প্লেয়ার হতে পারেন। কিন্তু তিনি স্বার্থপর। টিমের জন্য কী ভাবে খেলতে হয়, জানেন না। “মাঝে মাঝেই আমার এটা মনে হয়। মনে হয়, নেইমার শুধু নিজের জন্য খেলে। দেখাতে চায় ও কত বড় প্রতিভা। ওর বয়স অল্প। টিমের জন্য কী ভাবে খেলতে হয়, সেটা ও শিখে যাবে আশা করি,” ম্যাচ শেষে বলেছেন মিশর কোচ।
মিশর কোচের কথাবার্তার রেশ যেন তাঁর টিমেও। নইলে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে তিন গোলে পিছিয়ে পড়ে দু’গোল দিয়ে ম্যাচে ফিরে আসা, এমন কাণ্ড আর ক’বার ক’টা টিম করেছে? একটা সময় মনে হচ্ছিল, স্পেনের মতো বোধহয় ভাগ্যে লাঞ্ছনা জুটতে চলেছে পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদেরও। তিরিশ মিনিটের মধ্যে তিন গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। গোল করে যান রাফায়েল, দামিয়াও এবং নেইমার। কিন্তু বিরতির পর মিশরীয়রা রীতিমতো আতঙ্ক নিয়ে হাজির হয় সেলেকাও ডিফেন্সে। মহমম্দ আবাউত্রিকা এবং মহম্মদ সালাহ পর পর গোল করে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের কাহিনি প্রায় লিখে ফেলেছিলেন। মিশর কোচের গলাতেও তো বিদ্রূপ। র্যাঞ্জি বলেছেন, “ওরা ভেবেছিল তিন গোল দিয়েছে। ম্যাচও শেষ। কিন্তু আমরা একটু অন্য রকম ভেবেছিলাম।” |
নেইমার নিজে এত সমালোচনায় পাত্তা দিচ্ছেন না। জানিয়ে দিচ্ছেন, টিম জিতেছে সেটাই বড়। কী ভাবে জয় এসেছে তা নিয়ে অতশত মাথা না ঘামালেও চলবে। বলছেন, “ইতিবাচক দিকটা দেখা ভাল। আমরা প্রথমার্ধে খুব ভাল খেলেছি। আমি নিজেও ভাল খেলেছি। কিন্তু বিরতির পর গতিটা কমে গিয়েছিল। ওরাও ম্যাচে ফিরে আসে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল জয়। আর ম্যাচটা আমরাই জিতেছি।” তবে একই সঙ্গে নেইমার মনে করিয়ে দিচ্ছেন, পরের ম্যাচে এই ভুলগুলো করলে চলবে না। বলছেন, “ভুলগুলো শুধরে নিতে হবে। বিপক্ষকে ম্যাচে ফিরতে দেওয়া চলবে না।” আগামী রবিবার ব্রাজিলের দ্বিতীয় ম্যাচ। বেলারুশের বিরুদ্ধে। নেইমারের কথামতো ত্রুটিহীন ব্রাজিলকে সে দিন দেখা যাবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন। |