‘ট্র্যাকের বিদ্যুৎ’ প্রস্তুত! উসেইন বোল্ট সাফ বলে দিচ্ছেন, “আমি সব সময়ই নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকি। আর অলিম্পিক তো সবার সেরা চ্যাম্পিয়নশিপ। তার জন্য আমি পুরোপুরি প্রস্তুত। সম্প্রতি আমার সামান্য কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু সে সব পুরোপুরি কাটিয়ে উঠে এই মুহূর্তে আমি একদম তৈরি।”
চার বছর আগে বেজিং গেমসে একশো ও দু’শো মিটারে জোড়া সোনা জয়ী, বিশ্বের দ্রুততম মানুষ বোল্ট এ মাসের গোড়াতেই ফিটনেস সমস্যা, ভোররাতে গাড়ি দুর্ঘটনা, সতীর্থ স্প্রিন্টার ইয়োহান ব্লেকের কাছে অলিম্পিক ট্রায়ালে হারত্রহোস্পর্শে জেরবার ছিলেন। ব্লেক-ই বোল্টের প্র্যাক্টিস পার্টনার। অথচ তাঁর কাছেই জামাইকা অ্যাথলিট দলের অলিম্পিক ট্রায়ালে একশো ও দু’শো মিটার, দু’টোতেই হেরে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল, ‘ট্র্যাকের বিদ্যুৎ’ কী নিভুনিভু? কিন্তু লন্ডনে পৌঁছে তাঁর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে বোল্ট সব প্রশ্নকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, “আমার পিঠের পেশি সামান্য শক্ত হয়ে গিয়েছিল। হ্যামস্ট্রিংয়ে সামান্য ব্যথা ছিল। কিন্তু এখন সে সব উধাও। গত আড়াই সপ্তাহ হাড়ভাঙা ট্রেনিং করে অলিম্পিকে এসেছি। সব কিছু একদম ঠিক আছে। আমার স্প্রিন্টের জোড়া সোনা অটুট রাখার ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। সবার আগে দৌড় শেষ করতেই আমি একশো আর দু’শো মিটার ফাইনালে নামব।” |
নিজের দেশের আর এক পদকের দাবিদার স্প্রিন্টার আসাফা পাওয়েলকে পাশে নিয়ে বসে সাংবাদিকদের বোল্ট খোলাখুলি এটাও বলেছেন, “দ্বিতীয় হয়ে রুপো পেলে আমি অবশ্যই হতাশ হব। কিন্তু আমি মনে করি না যে, হেরে গেলেও আমার ঘাড়ে পৃথিবী ভেঙে পড়বে, বা জীবনের সেটাই শেষ প্রান্ত হবে বলে। মানসিক ভাবে আমি তখনও শক্তিশালীই থাকব। আমাকে ঠিক জায়গায় রেখে দেওয়ার জন্য আমার সঙ্গে একটা দুর্দান্ত সাপোর্ট টিম আছে।” লন্ডনে তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ কে বোল্ট ফাঁস করতে চাননি। বরং বলছেন, স্টার্টিং ব্লকে তিনি ছাড়া আরও যে সাত জন স্প্রিন্টার সে দিন থাকবেন তাঁরা প্রত্যেকেই তাঁর প্রধান প্রতিপক্ষ। “একশো বা দু’শো মিটার দৌড় হল একটা দুর্দান্ত মুহূর্ত। সেখানে কেউ একা প্রতিপক্ষ হতে পারে না,” বলেছেন বোল্ট।
ব্লেকের সঙ্গে তাঁর সাম্প্রতিক খারাপ সম্পর্কের খবরও উড়িয়ে দিচ্ছেন বোল্ট। “কে বলেছে যে আমি সকালে আর ব্লেক বিকেলে ট্রেনিং করি? আমরা প্রায় সর্বদাই একসঙ্গে, এক সময়ে, এক রুটিন মেনে ট্রেনিং করি। ওগুলোর কোনও বদল হয় না। বদলে যায় শুধু টুর্নামেন্ট আর পরিবেশ।” শুক্রবার রাতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মার্চপাস্টে জামাইকা দলের পতাকা বহন করার সম্মান পাওয়াতে বোল্ট আরও বেশি উদ্দীপ্ত। “এটা আমার কাছে দুর্দান্ত অনুভূতি। কারণ জামাইকা দল অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ঢোকার সময় আমিই থাকব টিভি ক্যামেরার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আমার কাছে এটা বিরাট সম্মান। দেশের জন্য আমি সব কিছু করতে রাজি। দেশকে সোনা জিতিয়ে আমি এর প্রতিদান দিতে চাই। আমি জানি সেটা পারব।” |