নাবালিকার বিয়ে আটকাল প্রশাসন |
নাবালক বরের বাবার অভিযোগ পেয়ে বিয়ে আটকাল ব্লক প্রশাসন। শুক্রবার খানাকুল ২ ব্লকের মাড়োখানা পঞ্চায়েতের বনহিজলি গ্রামে কনের বাড়িতে বিয়ের কথা ছিল। মেয়েটিও নাবালিকা। তবে তার বাড়িতে বিয়েতে অমত ছিল না। কিন্তু বেঁকে বসেছিলেন ছেলের বাবা। বছর উনিশের ছেলেটি মুম্বইয়ে সোনার কাজ করে। মাস তিনেক আগে বছর পনেরোর মেয়েটির সঙ্গে তার পরিচয় এবং সেই সূত্রে প্রণয় হয়। ছেলের বাবা বলেন, “আমার বিয়েতে মত ছিল না। কিন্তু কিছু আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে ছেলে বিয়ের তোড়জোড় করে ফেলে। আইনবিরুদ্ধ কাজ রুখতে থানায় অভিযোগ করি।” শুক্রবার দুপুরে পুলিশ এবং বিডিও গৌতম সান্যাল নিজে গিয়ে বিয়ে আটকান। বিডিও-র কাছে মেয়ের বাবাকে অঙ্গীকারপত্র দিতে হয়েছে, সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না তিনি। গৌতমবাবুর কথায়, “মেয়ের বাবাকে বিয়ের আইন-কানুন বুঝিয়ে বলি। মেয়ের বয়স আঠারো এবং ছেলের বয়স একুশ না হলে যে বিয়ে আইনসিদ্ধ হয় না, তা জানাই। আইন ভাঙলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, সে ব্যাপারেও ওয়াকিবহাল করি। তিনি বিষয়টি বুঝে সেই মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন।” ঠিক হয়েছে, ছেলেমেয়ে সাবালক হলে তবেই এ বিয়ে হবে। তাতে দু’বাড়িতেই কোনও অমত নেই। মেয়ের বাবার কথায়, “বিয়ের বয়স নিয়ে এত কড়াকড়ি, তা আমার জানা ছিল না। এখন বুঝেছি। তবে কেনাকাটায় কিছু খরচ হয়ে গিয়েছে। আশা করি, পরবর্তী কালে ওদের বিয়ে হলে প্রশাসন সাহায্য করবে।” আরও তিন বছর অপেক্ষায় কাটাতে হবে। মেয়েটি বলেন, “ওকে আমার বিশ্বাস আছে। ধৈর্য্য ধরে থাকব এ ক’টি দিন।” আর কিশোরটি বলে, “বিয়ের এত নিয়ম জানতাম না। তিন বছর অপেক্ষা না করে তো কোনও উপায় নেই!”
|
রেল লাইন থেকে উদ্ধার মৃতদেহ |
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ডানলপ কারখানার এক প্রাক্তন শ্রমিকের। শুক্রবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখার ডানলপ রেলগেটের কাছে। মৃতের নাম অজয় চট্টোপাধ্যায় (৫৪)। বাড়ি ব্যান্ডেলের কেওটা পিরতলায়। রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয়বাবু ডানলপের টিউব বিভাগের কর্মী ছিলেন। ২০০৬ সালে তিনি স্বেচ্ছাবসর নেন। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠান-বাড়িতে কেয়ারটেকারের কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হন। আর ফেরেননি। শুক্রবার সকালে ডানলপ রেলগেটের কাছে আপ লাইনে দেহটি উদ্ধার হয়। রেল পুলিশের অনুমান, ওই প্রৌঢ় আত্মঘাতী হয়েছেন। এ ব্যাপারে মৃতের বাড়ির লোকজন তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের জানিয়েছেন, বাড়িতে আর্থিক অনটনের জন্যই অজয়বাবু মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সে কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। অজয়বাবুর মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু গ্যাংম্যানের |
লাইনে কাজ করার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক গ্যাংম্যানের। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব রেলের শেওড়াফুলি স্টেশনের কাছে। রেল পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দয়ার সাগর (৪০)। তাঁর আসল বাড়ি বিহারের ভোজপুরের আরা গ্রামে। কর্মসূত্রে বর্ধমানে থাকতেন। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শেওড়াফুলি স্টেশনের কেবিনের কাছে তিনি কাজ করছিলেন। সে সময়ে আপ বর্ধমান লোকাল ওই লাইনে ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
|
শুক্রবার পাণ্ডুয়া ও খন্যান স্টেশনের মাঝে রেললাইন থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক প্রৌঢ়ার দেহ উদ্ধার করল রেল পুলিশ। ট্রেনে কাটা পড়ে বছর পঞ্চাশের ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরনে ছিল কমলা রঙের শাড়ি। |