|
|
|
|
তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর প্রশাসনের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • দাদপুর |
সরকারি প্রকল্পের টাকা খরচে ‘পদ্ধতিগত ত্রুটি’ থাকায় পোলবা-দাদপুরের বিডিও পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন দাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে।
প্রশাসনের দাবি, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্পের যে সমস্ত কাগজপত্র জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছে ওই পঞ্চায়েত, তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধানের সই ছিল না। যে পরিমাণ কাজ হয়েছে, তারও কোনও সুনির্দিষ্ট হিসেব ছিল না। এই সমস্ত অভিযোগ তুলেই বিডিও পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ সংশ্লিষ্ট বিডিও-র কাছে জানতে চেয়েছে, কোন ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি বা কাদের নাম সরকারি খাতায় ভাঁড়ানো হয়েছে। প্রশাসন এত দিন কেন অভিযোগ করেনি, পুলিশ সেই প্রশ্নও তুলছে।
২০০৭ সালে দাদপুর পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা তৈরি হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, রাস্তার পরিমাপ কতটা, সেই তথ্য জেলা প্রশাসনকে নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। প্রশাসনকে যে সমস্ত কাগজ সরকারি ভাবে জমা দেওয়া হয়েছে, তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রধান সই করেননি। ওই সমস্ত রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রে মাস্টার রোল নিয়েও নানা প্রশ্ন তুলেছেন বিডিও। মূলত হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) আর অ্যালিয়াস ভেজের নির্দেশেই বিডিও ওই অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিডিও শর্মিষ্ঠা ঘোষ কোনও মন্তব্য করেননি। জেলাশাসক শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাজন বলেন, “ওই পঞ্চায়েতে কাজ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেই কাজ সরকারি নিয়মরীতি মেনে হয়নি। কাজের খতিয়ান দেখাতে পারেননি পঞ্চায়েত প্রধান।” প্রধান, তৃণমূলের মহম্মদ জাকির হোসেন বলেন, “পঞ্চায়েত গঠনের পর ওটাই ছিল আমার প্রথম কাজ। সরকারি কাজ ঠিক কোন নিয়মে করা উচিত, তা আমি তখন জানতাম না। সেই জন্যই কোনও কোনও ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত ভুলভ্রান্তি থেকে গিয়েছে। টাকাপয়সার কোনও গরমিল কিন্তু করিনি। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অযথাই বিডিওকে চাপ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করিয়েছেন।” তৃণমূল নেতৃত্বও প্রধানের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “অন্যায় করে থাকলে নিশ্চয়ই শাস্তি হবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ওই পঞ্চায়েত প্রধানকে অন্যায় ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। ভোটে জেতার পরে নতুন পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে কাজে কিছু ভুল থাকতেই পারে।” |
|
|
|
|
|