জ্বর-সর্দি-কাশির চিকিৎসা হয়। এর বেশি কিছু হলেই রোগীদের অন্যত্র পাঠানো যেন রেওয়াজ। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের লোধন ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমনই বেহাল দশা। উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের একমাত্র ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শয্যা রয়েছে। তবে বেড সংখ্যা এত কম যে রোগী হলে রোগীদের কী ভাবে রাখবেন সে বিষয়ে হিমসিম খেতে হয় চিকিৎসকদেরও। গোয়ালপোখরের মোট জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি। সেখানে বেড রয়েছে ওই এলাকাতে এমন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সংখ্যা ১টি। ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মহিলা ও পুরুষ বিভাগ মিলে বেড সংখ্যা প্রায় ১৫টি। সে ক্ষেত্রে ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতি শয্যা পিছু লোক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার। বিষয়টি জানেন ওই এলাকার বিধায়ক তথা স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য গোলাম রাব্বানি। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিকে ৭ মাসের উপরে গ্রামীণ হাসপাতালের স্বীকৃতি পেলেও তা এখনো পর্যন্ত পরিকাঠামোর অভাবে তা গড়ে ওঠেনি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ১৫ টি থেকে ৩০ টি বেডের অনুমোদন পেয়েছে। এ ছাড়াও গোয়ালপোখরের গোয়াগাও এলাকাতে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ১০ শয্যার অনুমোদন পেয়েছে। বিধায়ক মনে করছেন, ওই পরিকাঠামো যদি গড়ে তুলতে পারেন, তা হলে অনেকে উপকৃত হবে। গোয়ালপোখরের ওই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বর্হিবিভাগের ঘরটি জীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেখানে বৃষ্টির সময় জল পড়ে ঘরের ভিতরে। হাসপাতালে মোট চিকিৎসকের সংখ্যা প্রায় ৭ জন। জরুরি বিভাগের জায়গাটা এতটাই ছোট যে সেখানে দুই জন নার্স থাকার পরে সেখানে চেয়ার টেবিল নিয়ে চিকিৎসকদের বসার জায়গা নেই। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকাতে একটি মাত্র স্বাস্থ্যকেন্দ্র থাকলেও সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। স্বাভাবিক প্রসবের ব্যবস্থা অবশ্য আছে। সেখানে একটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। সেখানে আগে লাইগেশন হলেও বর্তমানে তাও বন্ধ রয়েছে। তারা বলেন, এলাকার বিধায়ক দীর্ঘদিন ধরে ওই হাসপাতালের ওই হাল দেখে আসছেন। হাসপাতালে একটা এক্সরে পর্যন্ত হয় না। হাড় ভাঙলে চিকিৎসা করানো যায় না। গোয়ালপোখর ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দীপক প্রসাদ বলেন, “ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসকেরা যথাসাধ্য পরিষেবা দিয়ে থাকেন। তবে পরিকাঠামোর একটা অভাব রয়েছে।” গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রাব্বানি বলেন, “যখনই সরকারকে কিছু বলা হয়, টাকা না থাকার কথা জানানো হয়।এমন চললে এলাকার লোকেদের পরিষেবা দেওয়া যাবে কী ভাবে?” |