মেডিক্যালে অমিল এভিএস, সঙ্কট তীব্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সর্পদষ্টদের জন্য অতি-প্রয়োজনীয় এভিএস (অ্যান্টি-ভেনাম) নেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সর্পদষ্ট কেউ এলে সময় চলে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েই তাঁকে ‘রেফার’ করতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কেন এই পরিস্থিতি? হাসপাতালের সুপার যুগল কর বলেন, “স্টক শেষ হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
বর্ষা চলছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকাতেই সাপের উপদ্রব বাড়ছে। সর্পদষ্টদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালেই আসেন। কিন্তু এখানে এসে রোগীর আত্মীয়েরা জানতে পারছেন, এভিএসের মজুত শেষ। ক’দিন আগে স্বাস্থ্য দফতরের কাছ থেকে এক হাজার এভিএস চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। মিলেছিল মাত্র ৫০টি। পরে স্বাস্থ্য দফতরের সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে এক হাজার ২০০টি এভিএস আসে। এখন তা-ও শেষ। পরিস্থিতি দেখে বুধবারই সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর থেকে ফের ৩০০টি এভিএস চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তা পাওয়া গেলে আপাতত ক’দিন পরিস্থিতি সামলানো যাবে বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। প্রতি বছর বর্ষার সময়েই সাপের উপদ্রব বেশি হয়। জেলার সবং, পিংলা, কেশপুর প্রভৃতি এলাকায় সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটছেও। সর্পদষ্টদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য মেডিক্যালে আসেন। হাসপাতালে ওষুধের স্টক মাঝেমধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এত দিন ডিস্ট্রিবিউটরদের জানালে ওষুধ মিলত। এ বার সরাসরি কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ কিনতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তাই স্টক শেষের পরে ওষুধ আসতে সময়ও লাগছে। মঙ্গলবার রাতেও সর্পদষ্ট এক কিশোরকে মেডিক্যালে আনা হয়। তাকে একটি ব্লক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সুপার বলেন, “৩০০ এভিএস আসার কথা। তা এলে সমস্যা কিছুটা মিটবে।” |