দু’জনেই ‘স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি’ বলে সোমবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিন্তু একদিন পরে এক ছাত্রের খোঁজ মিললেও পাওয়া যায়নি আর একজনের সন্ধান। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থানার ডহরথুবার বাসিন্দা, হাটথুবা আদর্শ বিদ্যাপীঠের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সায়ন হালদার সোমবার স্কুলে গিয়েছিল এবং পরীক্ষাও দেয় বলে স্কুলসূত্রে জানা যায়। কামারথুবা বিবেকানন্দ হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস অবশ্য স্কুলে যায়নি বলে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
সায়ন হালদার।
—নিজস্ব চিত্র। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে বাড়ি না ফেরায় দুই ছাত্রের পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনও সন্ধান না পেয়ে বুধবার সকালে হাবরা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন দুই ছাত্রের পরিবার। ওই দিনই বিকেলে মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে খবর আসে গোপালনগর থানার আকাইপুরে মাসীর বাড়িতে রয়েছে সে। কিন্তু এখনও সায়নের কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। ছেলের চিন্তায় ঘুম চলে গিয়েছে মা মুনমুনদেবীর। ডহরথুবার বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, সোমবার বিকেলে তাঁরা সায়ন ও মৃত্যুঞ্জয়কে একসঙ্গে দেখেন। এ দিন তাই যখন আকাইপুরে মাসীর বাড়িতে মৃত্যুঞ্জয় আছে বলে জানা যায়, তখন মুনমুনদেবী ভেবেছিলেন তাঁর ছেলে সায়নও সেখানে রয়েছে। কিন্তু পরে দেখা যায় সায়ন সেখানে নেই। মৃত্যুঞ্জয়ের মা স্বপ্নাদেবী বলেন, “হাটথুবা এলাকায় ছেলে সাইকেল বিক্রি করতে গিয়েছিল বলে জানতে পারি। তখন তাকে আটকে রেখে আমাদের খবর দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা যাওয়ার আগেই ও ‘স্কুলে পরীক্ষা আছে’ বলে সেখান থেকে চলে যায়।” এ দিকে আকাইপুরের বাসিন্দা ও বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ উৎপল চক্রবর্তী বলেন, “মৃত্যুঞ্জয় এখানে তার মাসীর বাড়িতে এসেছিল। আমাকে সে বলেছে, হাবরা থেকে দু’জনে একসঙ্গে ট্রেনে উঠলেও সায়ন পরে মছলন্দপুরে নেমে যায়।” সায়নের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। |