আমাদের ত্রিমূর্তিকে কেউ আটকাতে পারবে না: চিডি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
টোলগে ওজবের ভাগ্য শেষ পর্যন্ত তাঁকে কোন ক্লাবে টেনে নিয়ে যায়, তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্রাইকারের থাকা না থাকায় ইস্টবেঙ্গলের গোলের ভাণ্ডারে কোনও রকম ভাটা পড়বে না বলেই মনে করছেন এডে চিডি। বুধবার সকালে দমদম বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই নাইজিরিয়ান গোল মেশিনের হুঙ্কার, “গোল করতেই আবার কলকাতায় ফিরে এসেছি। দলে কে আছে, না আছে তা নিয়ে ভাবছি না। আমি শুধু গোল করতে চাই।”
ইস্টবেঙ্গলের ভবিষ্যৎ এ বার নাইজিরিয়ান-ব্রিগেডের ওপরেই দাঁড়িয়ে। স্টপারে উগা ওপারা, মাঝমাঠে পেন ওরজি, ফরোয়ার্ডে চিডি। আসন্ন মরসুমে এই নাইজিরিয়ান ত্রিমূর্তি যে কোনও দলকে সমস্যায় ফেলে দিতে পারে বলে মনে করছেন চিডি। তাঁর কথায়, “আমাদের ভাষা এক। স্বভাব, খাওয়া-দাওয়াও এক। অন্যদের কথা বলতে পারব না, আমাদের মধ্যে বোঝাপড়ার কোনও অভাব হবে না। একবার ছন্দে চলে আসলে, কেউ আর আমাদের আটকাতে পারবে না।”
কলকাতায় খেলার অভিজ্ঞতা চিডির কাছে নতুন নয়। নিজের ফুটবল-জীবনের যে দু’বছর মোহনবাগানে কাটিয়েছেন, তাতে অজস্র ফুল ফুটিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলকে ৫-৩ গোলে হারানোর ঐতিহাসিক ম্যাচটাও সেই সোনালি মুহূর্তের ক্যানভাসে সযত্নে তুলে রাখা আছে। হ্যাটট্রিক সহ চারটি গোল করেছিলেন তিনি। চিডি অবশ্য বলছিলেন, “অতীতের কথা শুনতে ভাল লাগে। তা দিয়ে জীবনে এগোনো যায় না। মোহনবাগান আমার কাছে অতীত। ইস্টবেঙ্গল বর্তমান। এই মুহূর্তে আমার শুধু একটাই লক্ষ্য। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করা।”
|
দমদম বিমানবন্দরে ইস্টবেঙ্গলের নতুন তারকা চিডির মুখে হাসি। বুধবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
নতুন মরসুম শুরুর আগে নাইজিরিয়ায় লম্বা ছুটি কাটাতে গেলেও, বিশ্রামের জন্য কোনও জায়গা খালি রাখেননি চিডি। তাঁর দাবি, সারাক্ষণ ডুবে ছিলেন কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে। সকালে দৌড়, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ এবং জিম। বিকেলে বল প্র্যাক্টিস। তবুও চিডি বললেন, “এখনও পুরো ফিট নই আমি। আরও কিছু দিন সময় লাগবে একশো শতাংশ ফিট হওয়ার জন্য। আশা করছি, মরসুম শুরু হওয়ার আগেই নিজেকে তৈরি করে নিতে পারব।” নিজের ফিটনেসের বিষয়কে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছেন যে শহরে পা রেখে আর কোনও দিকে তাকাননি। সোজা ছুটলেন কল্যাণীর আবাসিক শিবিরে।
বিদেশি সতীর্থ কিংবা ফুটবল নিয়ে কলকাতার আবেগ চিডির কাছে নতুন না হলেও, কোচ ট্রেভর জেমস মর্গ্যান তাঁর কাছে একেবারে নতুন। এই প্রথম ব্রিটিশ কোচের অধীনে খেলবেন তিনি। বন্ধু ওপারার কাছ থেকেই যেটুকু শুনেছেন, জেনেছেন। চিডি বলছিলেন, “যত বার খেলেছি মর্গ্যানের বিপক্ষেই খেলেছি। তাই ওকে সামনাসামনি চেনার সুযোগ কখনও হয়নি। ওপারা আমাকে অনেক কথা বলেছে। মর্গ্যান যে রকম চাইবেন, সে রকমই খেলব।” পেন, চিডি এসে গেলেও, ওপারা আসছেন অগস্টের ৭-৮ তারিখ। |