‘আইল অফ ওয়ান্ডার’। ব্রিটেনের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিশেল এবং শেক্সপিয়রের অনুপ্রেরণায় এক আশ্চর্য দ্বীপের কথা শোনাতে চলেছেন অস্কারজয়ী ড্যানি বয়েল। মঞ্চ লন্ডনের ‘অলিম্পিক পার্ক’। তাঁরই পরিচালনায় এ বার শুরু হতে চলেছে লন্ডন অলিম্পিক।
“বি নট অ্যাফ্রেড, দ্য আইল ইজ ফুল অফ নয়জেস” ‘টেমপেস্ট’-এর বিখ্যাত উক্তি থেকে ড্যানি বেছে নিয়েছেন তাঁর ‘দ্বীপের’ নাম। শুরু থেকে শেষ, টেমপেস্টের থিমে চলবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। রয়েছে আরও অনেক চমক। তবে সবটাই এখন গোপন রাখতে চান পরিচালক। সহযোগীদের কড়া নির্দেশ, কী হতে চলেছে, বলা যাবে না কাউকে। জানতে হলে যেতে হবে ‘আশ্চর্য দ্বীপে’। অপেক্ষা করতে হবে ২৭ জুলাই, রাত ন’টা পর্যন্ত। স্টেডিয়ামের সীমানায় রাখা এক বিশাল ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হবে ‘আশ্চর্য দ্বীপে’র কথকতা। গোপনীয়তার মধ্যেই যেটুকু শোনা যাচ্ছে, সেটা এ রকম ব্রিটেনের গ্রাম, সবুজ উপত্যকা, পশুপাখি এমনকী ‘রেন মেশিনে’ দেশের বৃষ্টিভেজা আবহাওয়াও তুলে ধরবেন ড্যানি।
‘স্লামডগ মিলিওনেয়ার’-এর পর আবার দেখা যাবে রহমান-ড্যানি জুটি। ড্যানির জন্য পঞ্জাবি রক মিউজিকে সুর দিচ্ছেন এ আর রহমান। বাংলার ছোঁয়াও থাকছে বয়েলের দ্বীপে। একটি নাচের অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন ব্রিটেনের বাংলাদেশি নৃত্যশিল্পী আক্রম খান। ‘সাউন্ড অফ লন্ডন’-এ সুর দিচ্ছে এশিয়ার বেশ কয়েকটি গানের দল। পল ম্যাককার্টনি ও হে জুডের গানে শেষ হবে অনুষ্ঠান। সব শেষে মশাল জ্বালিয়ে সূচনা হবে লন্ডন অলিম্পিক ২০১২-র। ২০০৮ বেজিং অলিম্পিককে টেক্কা দিতে চান না ড্যানি। বরং ২০০০ সিডনির ‘‘পিপল’স গেম’’-এর জাদু লন্ডনের বুকে তৈরি করতে চান। তবে একেবারেই ব্রিটিশ আদলে। |