|
|
|
|
রুরাল ব্যাঙ্ক |
চেয়ারম্যান নির্বাচনে সেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান নির্বাচনে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব এড়ানো গেল না। বুধবার ছিল এই নির্বাচন। তৃণমূলের এক পক্ষ ইন্দুভূষণ মিশ্রের নাম চেয়ারম্যান হিসেবে প্রস্তাব করেন। অন্য পক্ষ অজিত মাইতির নাম প্রস্তাব করেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অজিতবাবু নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। ফলে ইন্দুভূষণবাবু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন বীরেশচন্দ্র দেব। তিনি আগের বোর্ডে চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নিজেদের শিবিরেরই দু’-দু’জনের নাম প্রস্তাবিত হওয়ায় বিড়ম্বনা বেড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের। যদিও প্রকাশ্যে তাঁদের বক্তব্য, দল এতে সরাসরি জড়িত নয়।
কেন নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন? জেলা তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি বলেন, “আমি দলের বিশ্বস্ত সৈনিক। আমার নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল ঠিকই। তবে ভোটাভুটি হোক চাইনি। তাই এই পদক্ষেপ।” এই প্রথম নয়, ডিরেক্টর নির্বাচন ঘিরেও এই ব্যাঙ্কে শাসক-দলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছিল। গত ৩০ জুন ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর নির্বাচন হয়েছে। জেলা তৃণমূলের ‘ক্ষমতাসীন’ গোষ্ঠী আগের ভাইস চেয়্যারম্যান মিহিরকুমার চন্দ্র-সহ ১২ জন ডিরেক্টরের তালিকা তৈরি করেন। সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা প্যানেল পড়ে যায়। সেখানে ব্যাঙ্কের আগের চেয়ারম্যান বীরেশচন্দ্র দেব-সহ ১২ জনের নামের তালিকা দেওয়া হয়। ৭৮ জন প্রতিনিধি ডিরেক্টর নির্বাচনে যোগ নেন। ভোট গণনা শেষে দেখা যায়, ‘বিক্ষুব্ধ’ গোষ্ঠীই জয়ী হয়েছে। ‘ক্ষমতাসীন’ গোষ্ঠী যে প্যানেল তৈরি করেছিল, তার মধ্যে এক জনই জয়ী হন। তিনি আগের ভাইস চেয়ারম্যান।
রাজ্যে পালাবদলের পরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি দীনেন রায় এই ব্যাঙ্কে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হন। পরে অবশ্য তিনি ইস্তফা দেন। ক’দিন আগে ব্যাঙ্কে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি হয়েছেন অজিত মাইতি। জানা গিয়েছে, এ দিন অজিতবাবুর নাম চেয়ারম্যান হিসেবে প্রস্তাব করেন লক্ষ্মীকান্ত দে। ইন্দুভূষণবাবুর নাম প্রস্তাব করেন বীরেশচন্দ্রবাবু। ভোটাভুটির পরিস্থিতি হয়েছে দেখে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন অজিতবাবু। নতুন চেয়ারম্যান বামেদের আমলে থাকা বোর্ডে ডিরেক্টর ছিলেন। |
|
|
|
|
|