সিপিএমের ধনেখালি জোনাল কমিটির এক সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ধনেখালি থানার দশঘরা ২-এর খামারডাঙা অঞ্চলে। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে তুষ্ট সিংহ নামে ওই নেতা বাড়ির কাছেই নিজের জমিতে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের ‘হুমকিতে’ তিনি ওই জমিতে চাষ করতে পারছে না বলেও অভিযোগ। তুষ্টবাবু জানান, আচমকাই জনা তিরিশ লোক তাঁকে তাড়া করে। তুষ্টবাবু কাছেই বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে ঢুকে হামলাকারীরা তাঁকে লাঠি-মুগুর দিয়ে পেটায়। ওই সিপিএম নেতার বাঁ হাতের কব্জি ভেঙেছে। চোট লেগেছে কোমরে। ইতিমধ্যে, খবর পৌঁছয় তুষ্টবাবুর বাড়িতে। স্ত্রী ছুটে এলে প্রহৃত হন তিনিও।
চিকিৎসার জন্য তাঁরা যাতে হাসপাতালে যেতে না পারেন, সে জন্য হামলাকারীরা দীর্ঘ ক্ষণ এলাকা ঘিরে রেখেছিল বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। তুষ্টবাবুকে প্রথমে ধনেখালি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। |
পরে পাঠানো হয় চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে। তুষ্টবাবুর স্ত্রী বিমলা সিংহ মারধরের অভিযোগ করেন থানায়। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তুষ্টবাবু বলেন, “বিধানসভা ভোটের পরে তৃণমূলের কিছু নেতা-কর্মী আমাকে প্রায়শই শাসাত। এ বার জমিতে চাষও করতে দেয়নি। শেষমেশ হামলা করেই ছাড়ল।” হুগলির প্রাক্তন সাংসদ সিপিএম নেতা রূপচাঁদ পালের বক্তব্য, “বিধানসভা ভোটে জয়লাভের পর থেকেই তৃণমূলের আক্রমণ চলছে জেলা জুড়ে।” অভিযোগ অস্বীকার করে ধনেখালির তৃণমূলের বিধায়ক অসিমা পাত্র বলেন, “সিপিএম জমানায় ধনেখালির মতো জায়গায় এদের অত্যাচারে মানুষ ঘরছাড়া হয়ে বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াত। ওদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে প্রাণনাশ অথবা ভিটেছাড়া হওয়া ছিল কপালে। এখন সাধারণ মানুষের ভয়ে তারা গ্রামে ঢুকতে পারছে না। মারের ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়।” অসীমাদেবীর দাবি, “পারিবারিক গণ্ডগোলকে রাজনৈতিক তকমা দিয়ে আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে।” |